আর্থিক প্রতিবন্ধকতাকে দূর করে এবারও মহাসাগরের বুকে নামছেন রিমো
Remo is once again entering the ocean, overcoming financial obstacles

Truth Of Bengal: সুদীপ্ত ভট্টাচার্য: আগামী ৬ এপ্রিল আবার এক দুঃসাহসিক অভিযানের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাচ্ছেন হাওড়ার প্যারা সুইমার রিমো সাহা। রিমো বাংলার সাঁতার জগতের এক অতি পরিচিত একটি নাম। কেননা এর আগে বহু দুঃসাহসিক অভিযানে গিয়ে সফল হয়ে দেশর জাতীয় পতাকাকে বিদেশের মাটিতে তুলে ধরে ঘরে ফিরেছেন রিমো। সেই রিমোই এবার সাঁতর কাঁটবেন রুবেন আইসল্যান্ড থেকে মেল্কবসস্ট্র্যান্ট অবধি।
দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসমুদ্রের এই বিস্তীর্ণ ভয়ঙ্কর পথ সাঁতার কাঁটার স্বপ্ন রিমোর চিরদিনের। গতবার রুবেন আইসল্যান্ড থেকে ব্লুবার্গ পর্যন্ত অভিযানের সময়ই রিমোর পরিকল্পনা ছিল এই পথও একই সঙ্গে পার হওয়ার। কিন্তু সঙ্গ দেয়নি তাঁর শরীর। হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় সে অভিযান তাঁর সফল হয়নি। ঘরে ফিরে আসতে হয়েছিল হাওড়ার সালকিয়ার তরুণ সাঁতারুটিকে।

হলে কি হবে! রিমো থেমে থাকেননি। তাই চলতি বছরেই আবার স্বপ্ন দেখেছেন অধরা দক্ষিণ আটলান্টিকের সেই দুর্গম পথ সাঁতারে অতিক্রম করার। যে পথে রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিপদের গন্ধ। একটু ভুল হওয়া মানেই ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পড়া। পাশাপাশি রয়েছে জেলিফিস, ওয়াটার সিলি এবং গুলি সার্কের মতো জলজ প্রাণীর ক্রমাগত আক্রমণের সম্ভাবনা।
হলে কি হবে, রিমো থেমে থাকতে চান না। এই অভিযানের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে, তিনি জানান, ‘অনেক স্বপ্ন নিয়ে এবারও অভিযানে যাচ্ছি। আপাতত সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। তবে সমস্যা হল একটাই, সেটা অর্থ। এখনও এই অভিযানের জন্য আমার দরকার প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার মত। যা জোগাড় না হলে আমার দু চোখে দেখা স্বপ্ন আর বাস্তবায়িত হবে না।’
বলতে বলতে অনেকটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বাংলার প্যারা সুইমারটি। থেমে না থেকে রিমো জানান, ‘অনেককেই বলেছি বহুবার। সবাই আশ্বস্ত করলেও এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। জানি না কি করে কি করব। আগের অভিযানগুলিতে অনেক কষ্ট করে টাকা জোগাড় করেছিলাম। এবার আর পারি নি। হাতে সময়ও বেশি নেই। তাই খুব চিন্তা হচ্ছে।

আদৌ আমার অভিযানটা শেষ পর্যন্ত সফলভাবে করতে পারবো কি না সেটা ঈশ্বর বলবেন। রিমো পথ চেয়ে বসে আছেন কোনও সহৃদয় ব্যক্তি বা কোনও কর্পোরেট সংস্থার উদয় হওয়ার আশায়। যাঁরা দু হাত ভরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন তাঁর দিকে। দেখা যাক এই অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতাকে রিমো দূর করে দেশের সম্মান রক্ষার্থে দক্ষিণ আটলান্টিকের গভীর, অজনা, অচেনা পথকে স-সম্মানে অতিক্রম করে আরও একটা নজির গড়তে পারেন কি না!