খেলা

আবারও ধাক্কা খেল পিসিবি, পাক প্রতিনিধিকে মঞ্চে না ডাকার ব্যাখা আইসিসির

PCB hits back again, ICC explains why it didn't invite Pak representative to stage

Truth Of Bengal: আবারও বড় ধাক্কা খেল পিসিবি। গত রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে পাকিস্তানের কোনও প্রতিনিধি ছিল না। তা নিয়ে জলঘোলাও কম হয়নি। তারপর এই ঘটনার জন্য আইসিসিকে তোপ দেগেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বুধবার তারই পাল্টা দিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।

পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, রবিবার দুবাইয়ের মাঠে ফাইনাল ম্যাচে পিসিবিও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ডিরেক্টর সুমাইর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তবুও তাঁকে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ডাকা হয়নি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে দাবি করে পিসিবি। এবং কেন সুমাইরকে ডাকা হয়নি তার জন্য আইসিসির কাছে জানতেও চায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এই দাবি সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দেয় আইসিসি। তাদের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পুরস্কার বিতরণী থেকে সমস্ত অনুষ্ঠান নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। এবং যাঁদের ডাকা হয়েছে মঞ্চে আসার জন্য, সেটাও সমস্ত নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে পিসিবি যে অভিযোগ করছে তা একেবারেই ঠিক নয়। আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ডিরেক্টর হলেই যে সুমাইরকে মঞ্চে ডাকতে হবে এমন কোনও নিয়ম নেই।

সুমাইর প্রসঙ্গে এরপর সংবাদসংস্থাকে আইসিসির এক কর্তা জানান, ‘সুমাইর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের একজন কর্মচারী মাত্র। উনি পিসিবির কোনও আধিকারিক পদে নেই। সুতরাং, কোনও টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ডিরেক্টরকে ডাকতে হবে এমন কোনও কথা নেই।’ উদাহরণ হিসাবে তিনি তুলে ধরেন গৌরব সাক্সেনার কথা। আইসিসির অন্যতম আধিকারিক গৌরব সাক্সেনা একবার এশিয়া কাপের ডিরেক্টর ছিলেন। কিন্তু তিনি তো মঞ্চে ছিলেন না।

চলতি বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দেশ ছিল পাকিস্তান। কিন্তু রবিবার ফাইনালে সে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কোনও কর্তা উপস্থিত ছিলেন না। বিসিসিআই-এর সভাপতি রজার বিনি, বোর্ড সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া এবং আইসিসির প্রেসিডেন্ট জয় শাহ উপস্থিত ছিলেন। তাই ক্রিকেটারদের মেডেল, জ্যাকেট ও ট্রফি তাঁরাই তুলে দেন।

উল্লেখ্য, রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে দুবাইয়ে উপস্থিত থাকতে না পারার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পিসিবি-র এক কর্তা জানান, ‘বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি যেহেতু পাক সরকারের একজন মন্ত্রীও বটে, কাজেই তিনি তাঁর পূর্ব নির্ধারিত কাজের সূচি আগেই তৈরি থাকায় তিনি নিজে না থাকতে পারলেও সিইওকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তবুও তাঁকে মঞ্চে ডাকা হয়নি।’

এছাড়া এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বেশ কিছু ঘটনা নিয়ে পাকিস্তান আইসিসির ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চলার মাঝেই লোগো পরিবর্তন করা।

Related Articles