চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এবার বিস্ফোরক পাক নিরাপত্তাকর্মীরা, বিক্ষোভে চাকরি খোয়ালেন শতাধিক
Pak security personnel are now explosive at the Champions Trophy, more than a hundred have lost their jobs in the protests

Truth Of Bengal: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ঘিরে যেন কিছুতেই বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না পাকিস্তানের। একের পর এক ঘটনায় জেরবার হয়ে উঠেছে পাক প্রশাসন। এবার বিক্ষোভের তালিকায় নাম লেখালেন নিরাপত্তাকর্মীরা। তাঁদের দায়িত্ব পালন করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। আর তাতেই পাক প্রশাসনের রোষানলে পড়তে হল বিক্ষোভকারীদের। এমনকি পাক প্রশাসন নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনওরকম খামতি রাখতে চান না তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। সেই কারণে এই ঘটনার জেরে চাকরি হারালেন শতাধিক নিরাপত্তারক্ষী।
এই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বরখাস্ত হওয়া ওই নিরাপত্তারক্ষীরা একই বিভাগে কর্মরত ছিলেন না। তাঁরা পাকিস্তানের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন বিভাগে জড়িত ছিলেন। পাক পুলিশের একজন কর্মকর্তা এই ব্যাপারে জানান, ‘বরখাস্ত হওয়া ১০০ জন নিরাপত্তারক্ষীর মধ্যে অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন। কারণ অনেক অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁদেরকে। এবং এঁদের পাশাপাশি কয়েকজন দায়িত্বে ছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালীন নিরাপত্তার দায়িত্বেও। কিন্তু তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকার করেন। তাই কোনও রকম গাফিলতি সহ্য না করে ওই কর্মীদের বরখাস্ত করা হয়েছে।’
ওই নিরাপত্তাকর্মীদের কি রকম কাজ দেওয়া হয়েছিল সেই সম্বন্ধে জানাতে গিয়ে তিনি জানান, ‘নিরাপত্তাকর্মীদের লাহরের গদ্দাফি স্টেডিয়াম এবং যে হোটেলগুলিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেওয়া দলগুলি রয়েছে সেইখানে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।’
এই বিষয়ে পঞ্জাব প্রদেশের আইজিপি ওসমান আনোয়ার জানান, ‘আমাদের দেশে এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো হাইভোল্টেজ টুর্নামেন্ট চলছে। সেই সময় নিরাপত্তার বিষয়ে কোনওরকম আপোষ আমাদের পক্ষ থেকে বরদাস্ত করা হবে না। পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেখতে আসা বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা আমাদের গুরু দায়িত্ব।’
তবে কেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা এই সময়ে তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকার করলেন সেই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি। পাক স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বিক্ষোভ প্রদর্শনকারী ওই নিরাপত্তারক্ষীরা দীর্ঘ সময় ধরে তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে হত। সেই কারণে তাঁদের কাছে এই দায়িত্ব অতিরিক্ত বোঝা হওয়ার দরুণ তাঁরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
এদিকে পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রী আতাউল্লাহ তাহার কয়েকদিন আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিদেশি নাগরিকদের অপহরণ করার খবরটি একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, ‘আমি স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, পাকিস্তান এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনওরকম খামতি করেনি। আমাদের যে স্টেডিয়ামগুলিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেলা হচ্ছে, সেই মাঠগুলি পরিপূর্ণ থাকছে। এটা ক্রিকেটের ক্ষেত্রে একটা সাফল্য বলা যেতেই পারে।’