খেলা

খো-খো বিশ্বকাপে রেফারিংয়ের সুযোগ পেয়ে অভিভূত রিষড়ার তপন : সৌগত রায়

Overwhelmed by the opportunity to referee in the Kho-Kho World Cup: Sougat Roy

Truth Of Bengal : এই প্রথমবার ভারতের মাটিতে বসতে চলেছে খো-খো বিশ্বকাপের আসর। ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে খো-খো-র এই মহাযুদ্ধ। ইন্দিরা গান্ধি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে খো-খো বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে। আর বিশ্ব খো-খো-র আসরে জুড়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার নাম। এই জেলার অন্তর্গত রিষড়াতেই থাকেন প্রাক্তন ভারতীয় দলের খো-খো খেলোয়াড় তপন দাস। জাতীয় দলের প্রাক্তন খো-খো খেলোয়াড়কেই এবার বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যাবে রেফারির মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে। খেলা ছাড়ার পর তপনবাবু বর্তমানে যুক্ত আছেন কোচিংয়ের সঙ্গে।

দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি এবারের এই খো-খো বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে মোট ২৪টি দেশ। আয়োজক ভারত ছাড়াও রয়েছে এই উপমহাদেশ থেকে রয়েছে প্রতিবেশী দুই দেশ বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। লাতিন আমেরিকা থেকে রয়েছে  ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। এবং ইউরোপ থেকে রয়েছে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশগুলিও।

হোক না খো-খো বিশ্বকাপ তবে কি হয়েছে। তবুও তো বিশ্বকাপ বলে কথা। সুতরাং এই বিশ্বকাপে রেফারিং করার সুযোগ পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত তপনবাবু। স্বাভাবিকভাবে তাঁর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রিষড়ার পাশাপাশি গোটা জেলাও।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে এশিয়ান গেমস চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সেই ভারতীয় দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন তপনবাবু।  তৎকালীন বাংলার ক্রিড়ামন্ত্রী প্রয়াত সুভাষ চক্রবর্তীর কাছে চাকরি চেয়েও বঞ্চিত হয়েই থাকতে হয়েছিল তাঁকে।  কিন্তু তারপরেও অদম্য জেদ ও খেলার প্রতি ভালবাসার জেড়ে মাঠ ছাড়েননি তিনি। আর আজ সেই নাছোড় মানসিকতাই তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্বকাপের মেগা মঞ্চে। খেলোয়াড় হিসাবে নাই বা হল,  রেফারি হিসাবেও বিশ্বকাপের মঞ্চে পাওয়া সুযোগকে নিজের অন্যতম সাফল‍্য হিসেবেই দেখছেন তপনবাবু।  তিনি বলেন, ‘খেলাটাকে তিনি ভালবেসেছেন তাই খো-খো-র জন্য তিনি কিছু দিয়ে যেতে চান।’

Related Articles