শুধু ফুটবলই নয়, এবার খো খো-র বিশ্বকাপেও পেলে-গ্যারিঞ্চাদের দেশ
Not only football, this time in Kho Kho's World Cup, the country of Pele-Garinchas

Truth Of Bengal : ফুটবল যাঁদের ধ্যান-জ্ঞান, ফুটবল যাঁদের শিড়ায়, শিড়ায় বহমান, জন্মেরই পরই যে দেশের শিশুরা প্রথম আঁকড়ে ধরে ফুটবলকে, সেই দেশটার নাম ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার দেশটি পৃথিবীর মানচিত্রে ব্রাজিল পরিচিত ফুটবল খেলার দেশ হিসাবেই। কিন্তু সেই ব্রাজিলকে যদি দেখা যায় খো-খো-র বিশ্বকাপে, তাহলে হয়তো অনেকেই ঘাবড়ে যাবেন। যাওয়ারই কথা। কিন্তু না এটাই বাস্তব।
২০২৫-র খো খো বিশ্বকাপের মহারণ শুরু হয়েছে ভারতের মাটিতে। সেই বিশ্বকাপে অংশ নিতেই সুদূর ব্রাজিল থেকে ভারতে এসেছেন স্বাম্বা দেশের খো খো খেলোয়াড়েরা।
খো-খো এশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সীমান্ত ছাড়িয়ে এখন লাতিন আমেরিকার ফুটবল পাগল দেশে প্রবেশ করেছে। তাও মাত্র হাতে গোণা অল্প সময়েই ফুটবলের পাশাপাশি খো-খো কেও আপন করে নিয়েছেন রোবার্ত কার্লোস, বেবেতো, রোমারিওদের দেশের নাগরিকরা। কিন্তু বিশ্বকাপ খেললেও ব্রাজিলে এখনও খো খো সেইভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি। সবে বীজ বোপন করা শুরু হয়েছে বলেই জানালেন ব্রাজিল দলের এক কর্তা।
দিল্লির মাটিতে আয়োজিত খো-খো বিশ্বকাপে এই ব্রাজিলিয়ান দলে এমন কিছু সদস্য রয়েছেন যাঁরা খেলার পাশাপাশি শিক্ষাগত দিক থেকেও যথেষ্ট উচ্চশিক্ষিত। ফুটবলের বিশ্বকাপে যেমন সাম্বা ঝড় তোলেন ব্রাজিলিয়ানরা, ঠিক তেমনই মাত্র কয়েক মাস আগে খো খো খেলা শুরু করা ব্রাজিল দলটিও এবারের বিশ্বকাপে ভাল কিছু করারই আশা দেখছেন। দলের কোচ লরা এবং পুরুষ দলের অধিনায়ক গ্যাব্রিয়েল করোনাস সে কথাই জানালেন।
এই প্রসঙ্গে খো খো-কে নিয়ে তাঁদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানাতে গিয়ে ব্রাজিল দলের অন্যতম সদস্য নিকোলাস তাদেউ জানান, ‘ব্রাজিল ফেডারেশনের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে আমাদের দেশে খেলাধূলার বিকাশ ঘটানো। আয়তনে বড় এই দেশটিতে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন খেলা খেলেন। তবুও আমাদের বিশ্বাস ব্রাজিলে আগামী দিনে খো খো কে ভালোভাবে প্রসার ঘটানো সম্ভব। এবং শক্তিশালী জাতীয় দল গড়ার পাশাপাশি খো খো-র মত খেলাকে আমাদের দেশে প্রসার ঘটাতে খো- খো লিগও চালু করার কথা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। আশাকরি আমাদের সরকার, এই কাজে আমাদেরকে সহযোগিতা করবে।’
তবে কি করে ব্রাজিলে খো-খো খেলার প্রচলন ঘটল, সেই সম্বন্ধে দলের কোচ লরা ডোরিং জানান, ‘আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির লিডার পোগ্রাম ইভেন্ট চলাকালীন আমার সঙ্গে পরিচয় হয় আন্তর্জাতিক খো খো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হালদানিয়ার সঙ্গে। তিনিই প্রথম আমাকে খো-খো খেলার বিষয়ে বিস্তারিত জানান এবং উৎসাহিত করেন। মূলত তাঁর চেষ্টাতেই আমি ব্রাজিলে গিয়ে খো-খো খেলার প্রচলনের জন্য চেষ্টা করি। এবং একটি দল গঠন করে বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন নিয়ে ছুটে আসি এতদূরে।’