
The Truth of Bengal: কলকাতা লিগের দ্বিতীয় ম্যাচেই আটকে গেল মহমেডান স্পোর্টিং। উয়াড়ির বিরুদ্ধে হাফ ডজন গোলে জেতার পর দ্বিতীয় ম্যাচেই পয়েন্ট খোয়াতে হল সাদা কালো ব্রিগেড। সোমবার বিকালে গত তিনবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব নিজেদের ঘরের মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেছিল খিদিরপুর স্পোর্টিং ক্লাবের বিরুদ্ধে। গোলশূন্য ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল রেড রোডের ধারের ক্লাবকে।
কলকাতা লিগের দ্বিতীয় ম্যাচেই আটকে গেল মহমেডান স্পোর্টিং। সোমবার, সিএফএল-এর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয় মহামেডান স্পোর্টিং বনাম খিদিরপুর ফুটবল দল। সেই ম্যাচ গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ হয়। কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে উয়াড়ির বিরুদ্ধে হাফ ডজন গোলে জেতার পর, নিজেদের মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচেই পয়েন্ট খোয়াতে হল সাদা কালো ব্রিগেডকে।
মহামেডানের গোল লক্ষ্য করে ৯টি শট নেয় খিদিরপুর। লক্ষ্যে ঠিকঠাক রাখতে পারলে ম্যাচর ফলাফল অন্যরকম হলেও হতে পারত। মাত্র ২১ দিনের প্রস্তুতি সেরে খিদিরপুর খেলতে নেমেছিল। তার উপরে পুরনো ছেলেদের নিয়েই দল গঠন করা হয়েছে। সেখানে মহামেডানের নতুন দল। সকলে এখনও দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই পারেননি। তবে সাদা-কালো শিবিরের গোলরক্ষক শুভজিৎ দুর্ভেদ্য না-হয়ে উঠলে মহমেডানকে এদিন শূন্য হাতে ফিরতে হত।
তবে মহমেডান কিন্তু শুরুটা খারাপ করেনি। আক্রমণাত্মক মেজাজেই তারা খেলা শুরু করেছিল। তবে প্রথম ম্যাচে উয়াড়ির বিরুদ্ধে যে রকম দাপটের সঙ্গে খেলতে দেখা গিয়েছে মহামেডানকে, তার ধারেকাছে এদিন পৌঁছতে পারেনি তারা। প্রথমার্ধে এদিন মহামেডান এমন একটিও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি যা থেকে গোল হতে পারে। বিরতির পরে আক্রমণের সংখ্যা বাড়লেও তা গোলমুখ খোলার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। বিশেষ করে পাঁচটি কর্নার পেয়েও তার ফায়দা তুলতে ব্যর্থ হয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। এই ম্যাচেই রেফারিং নিয়ে উঠে গেল একাধিক প্রশ্ন। আর এরপরেই রেফারিং-এর মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খিদিরপুর স্পোর্টিং ক্লাবের কোচ সায়ন্তন দাস রায়।