খেলা

সন্তোষ জয়ের পরই অভিনন্দন জানালেন প্রাক্তন ফুটবলাররাও

Former footballers also congratulated Santosh after winning

Truth Of Bengal: দীর্ঘ কয়েক বছর পর আবার সন্তোষ ট্রফি জয় করেছে বাংলা দল। সঞ্জয় সেনের প্রশিক্ষণে কেরলকে হারিয়ে ভারত সেরা হয়েছে রবি হাঁসদা, চাকু মান্ডি, নরহরি শ্রেষ্ঠারা। বাংলার ছেলেদের এই সাফল্যে তাঁদের কুর্নিশ জানিয়েছেন প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলাররা। এমনকি অভিনন্দন জানিয়েছেন আইএফ সচিব অনির্বাণ দত্ত-ও।

সৈয়দ নইমুদ্দিন (প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার)- বাংলার সন্তোষ ট্রফি জয় মাঠে গিয়ে দেখতে পেরে আমার দারুণ আনন্দ হয়েছে। ফুটবলার হিসাবে হায়দরাবাদ থেকে উত্থান হলেও, বাকি পরিচয়টা কিন্তু আমরা বাংলা থেকেই হয়েছে। কাজেই বাংলা আমার দ্বিতীয় মাতৃভূমি। সেই বাংলা আবার ভারত সেরা হয়েছে। দারুণ খুশি হয়েছি। বাংলার কোচ সঞ্জয় সেন ও দলের সকল ফুটবলার এবং স্টাফদের আমার তরফ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আশাকরি আগামী দিনেও বাংলা এইভাবেই সাফল্য পাবে।

ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় (প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার)- বাংলার ছেলেরা ফুরিয়ে যায়নি। তাঁরাও ফুটবলটা খেলতে পারে। এটা ফের প্রমাণ করে দিল সঞ্জয় সেনের ছেলেরা। বাংলাকে সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন করার এই কৃতিত্ব পুরোপুরি সঞ্জয় ও তাঁর ছেলেদের। আমার তরফ থেকে সঞ্জয় এবং গোটা দলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। তবে নরহরি, চাকু-রবিদের কাছে বড় দাদা হিসাবে আমার একটাই অনুরোধ, এখানেই থেমে না থেকে নিজেদের আরও প্রমাণ করার জন্য লড়াই করো। দেখবে একদিন সাফল্য পাবেই। আর ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের বর্তমান কর্তাদের কাছে আমার অনুরোধ, সন্তোষ ট্রফিতে বিভিন্ন দলের হয়ে খেলা প্রতিভাবান ফুটবলারদের জন্য বন্ধ হওয়া টুর্নামেন্টগুলো পুনরায় চালু করুন। না হলে কিন্তু প্রতিভাবান ফুটবলাররা হারিয়ে যাবেন। দয়া করে এটা হতে দেবেন না। এতে ক্ষতি হবে ভারতীয় ফুটবলের।

অনির্বাণ দত্ত, (আইএফএ সচিব)- বাংলার এই জয় সত্যিই আমাকে দারুণ আনন্দ দিয়েছে। আমাদের প্রথম থেকেই মনে হয়েছিল বাংলার ফুটবল দলের কোচ হিসাবে এই মুহূর্তে সঞ্জয় সেন হচ্ছে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। কাজেই তাঁর হাতে আমরা দায়িত্ব তুলে দিতে পেরেছি। এবং সঞ্জয় দা আমাদের সকলের ভরসার মর্যাদা রেখেছেন। এর কৃতিত্ব অবশ্যই সঞ্জয় সেনের প্রাপ্য। একই সঙ্গে কৃতিত্ব দেব দলের ফুটবলার থেকে শুরু করে সাপোর্ট স্টাফ সকলকে। বাংলা দল একটা পরিবারগতভাবে এবারের সন্তোষ ট্রফিতে লড়াই করেছে। এবং তার ফল পেয়েছে হাতেনাতে। অনেকেই বলেন বাংলা থেকে প্রতিভাবান ফুটবলার পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলার ফুটবল শেষ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের উদ্দেশ্যে বলি, বাংলার ফুটবল শেষ হয়নি। ফুটবল বাঙালির রক্তে। তা ফের প্রমাণ করে দিল সন্তোষ ট্রফি জয়। শুধু তাই নয়, বিসিরায় ট্রফিতেও বাংলা সাফল্য পেয়েছে। মহিলাদের টুর্নামেন্টে ট্রফি জিততে না পারলেও আশা জাগিয়েছি। আমার মনে হয় এবারের সন্তোষ ট্রফি জয় আগামী দিনে বাংলার ফুটবলকে আরও উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

Related Articles