খেলা

মহানগরে মার্টিনেজ! ফুলবলপ্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে

Emi Martinez at Kolkata

The Truth of Bengal: সাদা শার্ট, বেজ রঙের শর্টস, সাদা স্নিকার্স। বাঁ পায়ে জ্বলজ্বল করছে বিশ্বকাপ এবং তিনটে তারা। সেদিকে নজর যেতে বাধ্য। সোমবার বিকেলে কলকাতায় পা রেখেছেন। রাতে হোটেলেই স্পনসরের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। কিন্তু কলকাতার উন্মাদনার আঁচ পাননি। যা পেলেন মঙ্গলবার দুপুরে মিলন মেলা প্রাঙ্গণে পা রেখেই। স্ক্রিনে এমি মার্টিনেজের এভি দেখা মাত্রই চিৎকারে ফেটে পড়ে অডিটোরিয়াম। ১২.৪৫ মিনিট নাগাদ ডিবু সভা ঘরে ঢুকতেই সে এক অন্য উচ্ছ্বাস এবং উন্মাদনা। বিভিন্ন টাকার টিকিটে বসার জায়গা আলাদা করা ছিল। কিন্তু বিশ্বকাপারের দর্শন পাওয়া মাত্র সব মিলেমিশে একাকার।

সদা হাস্যময় বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার মঞ্চে উঠেই বললেন সেই ম্যাজিকাল শব্দ, ‘ভামোস, ভামোস।’ তাতেই কলকাতার আর্জেন্টাইন ভক্তদের মন জয় করে নেন। প্রতিধ্বনিত হল ‘ডিবু, ডিবু’ চিৎকার। তারই মাঝে ভেসে এল মেসির নামে জয়ধ্বনিও। এলএমটেনের সতীর্থকে দেখেই আবেগের কাছে আত্মসমর্পণ শহরের ফুটবলপ্রেমীদের। এই মুহূর্তকে মোবাইলবন্দি করার তাড়াহুড়ো পড়ে যায়। তারপর শুরু অনুষ্ঠান। প্রথমেই মার্টিনেজকে সংবর্ধিত করে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ছিলেন সভাপতি প্রণব দাশগুপ্ত, শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার, ফুটবল সচিব সৈকত গাঙ্গুলি প্রমুখ। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয় এমিকে। দেওয়া হয় একটি কয়েন এবং লাল হলুদ উত্তরীয়। লাল হলুদ জার্সি পড়েও পোজ দেন বিশ্বকাপে গোল্ডেন গ্লাভস জয়ী।

এরপর মোহনবাগানের পক্ষ থেকে এমিকে ফার্স্ট কভার এবং সবুজ মেরুন উত্তরীয় দেওয়া হয়। ছিলেন সচিব দেবাশিস দত্ত, ফুটবল সচিব স্বপন ব্যানার্জি, কর্মসিমিতির সদস্য সোহিনী মিত্র চৌবে এবং অন্যান্য কর্তারা। মার্টিনেজের মুখে শোনা যায়, ‘জয় ইস্টবেঙ্গল। জয় মোহনবাগান।’ একসঙ্গে দুই প্রধানের কর্তাদের সঙ্গে হয় এমির ফটোশুট। এরপর স্পনসরদের সংবর্ধনার পালা চলে। তারই মাঝে খুদেদের জার্সিতে সই করেন ডিবু‌। মাঝে নিজের কলকাতায় আসার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন।শেষে বাংলার গোলকিপারদের সঙ্গে ফটোসেশন। ছিলেন সুমিত মুখার্জি, হেমন্ত ডোরা, সন্দীপ নন্দী, সংগ্রাম মুখার্জিরা।‌ মিলন মেলায় উপস্থিত বাংলায় খেলা ফুটবলারদের সঙ্গেও ফটো তোলেন এমি। সব মিলিয়ে জমজমাট কলকাতায় এমি মার্টিনেজের প্রথম শো।

Related Articles