
Truth of Bengal: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল তথা আইসিসি গত কয়েক বছরে ক্রিকেটকে আরও বেশি দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। অ্যাসোসিয়েট দেশ হিসাবে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইতালি, স্পেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, কাতারের মতো দলগুলোর গুরুত্বও বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে নতুন এক গুরুত্বপূর্ণ নাম যোগ হতে চলেছে ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক মঞ্চে—গ্রেট ব্রিটেন।
২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে, আর সেই উপলক্ষে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও নর্দান আয়ারল্যান্ড একত্রিত হয়ে গ্রেট ব্রিটেন নামে একটি যৌথ দল গঠন করতে চলেছে।এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড, ক্রিকেট স্কটল্যান্ড এবং ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড একযোগে কাজ শুরু করেছে। অলিম্পিক অংশগ্রহণের লক্ষ্যে তৈরি হবে ‘টিম গ্রেট ব্রিটেন’, যেখানে পুরুষ ও মহিলা—উভয় বিভাগের ক্রিকেটাররা থাকবেন। এই দলের জন্য ‘গ্রেট ব্রিটেন’ নামে একটি নতুন গর্ভনিং বডিও গঠন করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯০০ সালের প্যারিস অলিম্পিকে ক্রিকেট প্রথম ও একমাত্রবারের মতো অন্তর্ভুক্ত হয়ে গ্রেট ব্রিটেন সোনা জিতেছিল। ১২৮ বছর পর আবার অলিম্পিকে ক্রিকেট ফিরছে, এবং সেই ঐতিহাসিক দলের উত্তরসূরিরা এবার ফের পদক জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবেন। তবে গ্রেট ব্রিটেনের দল গঠনে কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে, বিশেষত আয়ারল্যান্ডকে নিয়ে। কারণ, ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ড এবং নর্দান আয়ারল্যান্ড—উভয়ের প্রতিনিধিত্ব করে। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই নতুন গ্রেট ব্রিটেন দলে নর্দান আয়ারল্যান্ড থেকে ঠিক কতজন ক্রিকেটার অংশ নেবেন? এবং রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ডের অবস্থানই বা কী হবে? অন্যদিকে, বিশ্বজুড়ে ফুটবলের তুলনায় অনেক কম দেশে ক্রিকেট খেলা হয়ে থাকে। এই পরিস্থিতিতে ক্রিকেটকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে অলিম্পিক কমিটি ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলিকে বিশ্বের সামনে মুখ হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে। যদিও সেটি কতটা বাস্তবায়নযোগ্য তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। সব মিলিয়ে, ক্রিকেটের ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে ২০২৮ সালের অলিম্পিকে, যেখানে ঐতিহাসিক গ্রেট ব্রিটেন আবার ফিরছে ক্রিকেটের অলিম্পিক মঞ্চে।