শরফুদৌল্লাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করার প্রস্তাব অশ্বিনের
Ashwin proposed to make Sharfudullah the brand ambassador

Truth Of Bengal: মেলবোর্ন টেস্টের শেষ দিনে সোমবার যশস্বী জয়সওয়ালের আউট ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয় সর্বত্র। তারপর থেকেই ক্রিকেটপ্রেমীদের কাঠগড়ায় স্থান পেয়েছেন বাংলেদেশের সেই আম্পায়ার শরফুদৌল্লা সৈকত। যশস্বীকে এমন আউট দেওয়ায় ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা কোনও বিতর্কে নিজেকে না জড়ালেও, প্রতিবাদ জানাতে ভুললেন সদ্য ক্রিকেটকে আলবিদা জানানো স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বীন।
এই প্রসঙ্গে অশ্বীন জানান, ‘ওই বাংলাদেশি আম্পায়ার যেভাবে যশস্বীকে আউট দিলেন তা একেবারেই মানা যায় না। আমার মনে হয় ওই আম্পায়ারকে স্নিকোমিটারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বানিয়ে দেওয়া উচিত।’ তবে নিজের বক্তব্যের পরই অশ্বিন জানান, এটা যে নেহাতই জোকস, তাও জানাতে ভুললেন অশ্বিন।
প্রসঙ্গত, মেলবোর্ন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে যখন ভারতীয় দলের ব্যাটিং লাইন আপে যখন রীতিমত ধ্বস নামিয়েছিলেন অজি বোলাররা, ঠিক সেই সময় ব্যাট হাতে ক্রিজে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করছিলেন তরুণ ভারতীয় ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল। ম্যাচের ৭১তম ওভারে প্যাট কামিন্সের বলে ব্যাট ছোঁয়ালে উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারির হাতে বল জমা পড়া মাত্রই আউটের আবেদন জানান অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। কিন্তু তাঁদের এই আবেদনে কান দেননি আম্পায়ার। এরপরই রিভিউ চায় অস্ট্রেলিয়া। এবং তারপরই যশস্বীকে আউট দেন বাংলাদেশের আম্পায়ার। এরপরই স্নিকোমিটারে দেখা যায়, বল নাকি যশস্বীর ব্যাট স্পর্শ করেনি। তা সত্ত্বেও আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তে সরগরম হয়ে উঠেছে গোটা ক্রিকেট মহল।
এদিকে শুধু অশ্বীনই নন, এবার যশস্বীকে এমন আউট দেওয়ার সিদ্ধান্তে নিজেদের ক্ষোভ জানাতে ভুললেন না ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা।
যশস্বীর পাশে দাঁড়িয়ে শুক্লা জানান, ‘ প্যাট কামিন্সের যে বলে বাংলাদেশের আম্পায়ার যশস্বী জয়সওয়ালকে আউট দিয়েছেন, প্রমাণ হয়ে গিয়েছে সেটা আউট ছিল না। স্নিকোমিটার যা দেখাচ্ছিল, তা নিয়ম মেনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল ওই আম্পায়ারের।’ সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিজের এই বক্তব্য পোস্ট করেন বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি।
উল্লেখ্য, যশস্বীকে আউট দেওয়ার পরই ভারতীয় দলের ব্যাটিং লাইনআপের শক্তি হ্রাস পেতে থাকে। এবং ম্যাচ থেকে ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকে টিম-ইন্ডিয়া। এবং পাঁচ টেস্টের সিরিজে চার ম্যাচের মধ্যে দুটি ম্যাচ হেরে এখন বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে রোহিত ব্রিগেড।