
The Truth of Bengal: মনোনয়নের পর্বে আঁচ করা গিয়েছিল, ভোটের দিন ঠিক কী হতে চলেছে। সেই আশঙ্কা এড়ানো গেল না। অবশেষে রক্তাক্ত হল গণতন্ত্রের উৎসবে। ক্ষমতাদখলের লড়াইয়ে বলি হলেন বেশ কয়েকজন। পুলিশ সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটে দুপুর পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। যদিও নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর সারাদিনে ৭জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালেই কোচবিহারে এক বিজেপির এজেন্টকে বুথের মধ্যেই বোমা মেরে হত্যা করা হয়।
দিনহাটার ভাগানিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এক বিজেপি কর্মী। মুর্শিদাবাদের লালগোলায় বোমা মেরে খুন করা হয় এক সিপিএম কর্মীকে। এ ছাড়া বেশ কিছু জায়গা থেকে বোমাবাজি ছবি উঠে আসে। বিরোধীদের দাবিকে অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের মুখপাত্রের দাবি, ৬১ হাজারের বেশি বুথে নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে কয়েকটি বুথে গণ্ডগোল হয়েছে, আর বেশি আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূলকর্মীরা।
এদিন বেশ কিছু জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। প্রশ্ন উঠেছে, বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, অশান্তির দায় তাদের নয়। বল ঠেলে দিয়েছে কমিশনের দিকে। উল্টোদিকে, হিংসার দায় নিতে নারাজ কমিশনও। সূত্রের খবর, রাজ্যে যে হিংসার অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।