রাজনীতি
Trending

অধিকাংশ জায়গায় তৃণমূলকর্মীরাই আক্রান্ত হয়েছে: কুনাল ঘোষ

Panchayat Election 2023

The Truth of Bengal: পঞ্চায়েতে লড়তে নেমে বিরোধীরা আঠারোর তুলনায় বেশি আসনে প্রার্থী দেয়। তবু সংগঠনের নড়বড়ে দশা বা ঘরোয়া বিবাদের কাঁটাকে সরাতে পারেনি বিজেপি। তাই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান বা বিদ্রোহের অনেক উদাহরণই দেখা যায়। তবুও হুঙ্কার ছাড়তে ভোলেনি বিরোধী শিবির। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শুরুর দিন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম তাঁর ফেসবুক পেজে খেঁটে লাঠির মাথায় লাগানো লালঝান্ডা তুলে ধরেন। ছবির ক্যাপশনে সেলিম লিখেছিলেন—‘প্রস্তুতি।’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী খোলাখুলিই বলেছিলেন, ‘‘বাধা দিলে বাধবে লড়াই!’’

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, ‘‘মেরে পিঠে ছাপ রাখা হবে তৃণমূল নেতা কর্মীদের গায়ে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার বাউন্ডারির সীমা ছাড়িয়ে হুঁশিয়ারি দেন, দিল্লি কী ভাববে সেসবের দিকে না তাকিয়ে ৩৫৬ ধারার দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করবেন। এই  প্ররোচনার চড়া সুরের জন্য হিংসার স্রোত থামানো যায়নি বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্বের। শনিবার তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ করেন,বাংলাকে কালিমালিপ্ত করতে চিত্রনাট্য সাজাচ্ছে বিরোধীরা। শশী পাঁজা বলেন, ‘বিরোধীরা চেয়েছিলেন যাতে শান্তিপূর্ণ ভোট না হয়। ৬০ বুথে সমস্যা হয়েছে৷ ৬১ হাজারের বেশি বুথ গোটা রাজ্যে। যদিও এটা না হলেই ভালো হত। এর মধ্যে মেজর ৮-৯ বুথে এই গন্ডগোল হয়েছে। বিরোধীদলের সবাই কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা কী ছিল? বিএসএফ-এর ভূমিকা নজরে এসেছে। তার প্রভাব খাটিয়েছেন কোন দলকে ভোট দিতে হবে? কোনও মৃত্যু কাম্য নয়। অনেক প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে৷ অনেক উত্যক্ত করা হয়েছে। যারা মারা গিয়েছেন তারা তৃণমূলের অধিকাংশ’।

কুণাল ঘোষও রামধেনু জোটের কারসাজির কথা তুলে ধরে সুর চড়ান।তাঁর সাফকথা, ‘বিরোধী দল আর কেউ কেউ আতঙ্কের বিপণন করছেন। অধিকাংশ তৃণমূলের মারা যাচ্ছেন। আজ সকাল থেকে দেখুন তৃণমূলের মারা যাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস কী চাইবে তৃণমূল কংগ্রেসকে মারতে। তৃণমূল মারা গেলে বলা হচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর বিরোধী মারা গেলে বলবেন সন্ত্রাস। এই গোটা উস্কানির পেছনে রাজ্যপালও আছেন। আজ এক বিজেপির দলবদলু নেতা বলছে, দিল্লিতে গিয়ে বলব টাকা বন্ধ করে দিতে। ভোটের সঙ্গে টাকার কী সম্পর্ক। আসলে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। বিরোধীরা জানে তারা জিততে পারবে না। তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপক ভোটে জিতবে। নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। বাম জমানায় ভোটের দিন ৬০-৭০-৮০ জন মারা যেত। এখন অনেক কমেছে। সিপিএমের অতীত, সিপিএমের ভোট মনে আছে? বিজেপি শাসিত রাজ্যের অবস্থা মনে আছে? আসলে ভোটের ফলাফল থেকে নজর ঘোরাতে পরিকল্পিত ভাবে অশান্তি করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস একাধিক অভিযোগ করেছে। আর যারা ৩৫৫ বা ৩৫৬ করছেন, তারা আগে মণিপুর করে আসুন। তারপর বাংলার কথা বলবেন। মামার বাড়ির আবদার নাকি ৩৫৫ বা ৩৫৬’।

কুণাল ঘোষের আরও তো ‘এত ছাপ্পা ভোট হলে,বা ভোট লুঠ হলে তো এতক্ষণে ৯০ শতাংশের উপর ভোট হয়ে যেত। বাস্তবে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গেছেন বিরোধী দলনেতা। তৃণমূল নেতৃত্বের বার্তা, বাংলার মানুষ বিরোধীদের তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে, আর বিজেপির পুরনোরা শুভেন্দুর নেতৃত্বকে তালা দিয়েছে,তাই দিল্লির সঙ্গেও মতভেদ সামনে আসছে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতাও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘সিপিএম-কংগ্রেস-শুভেন্দু আগে থেকেই প্ররোচনা দিয়েছেন। লাঠি, বাঁশের ছবি দিয়েছেন। আর তার পরিণাম এইর ঘটনা। পুরনো স্মৃতিকে জাগাতে চাইছে তারা’। বাম আমলের সন্ত্রাস থেকে বিজেপি শাসিত রাজ্যের হিংসার কথা অভিযোগের তালিকায় জায়গা পায়।

 

Related Articles