
The Truth of Bengal: গণতন্ত্রের মহোত্সবে ওঁরা দীর্ঘদিন অংশ নিচ্ছেন।স্বাধীনতার পর থেকেই তাঁরা অধিকার প্রয়োগ করছেন।দেশরক্ষার লড়াই তাঁদের চোখে এখনও ভাসে।স্বাধীনতা সংগ্রামের উষালগ্ন থেকেই তাঁরা ভোট দিচ্ছেন।দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেক স্বপ্ন নিয়ে লোকতন্ত্রের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ওঁরা। ভারতের একাল-সেকালের ইতিহাসও তাঁদের স্মৃতিপটে রয়েছে।সেই প্রবীণ ভোটাররাই শনিবার মহানন্দে ভোট দিলেন।
ভোট দিলেন আন্দোলনের ভূমি সিঙ্গুরে।বাগডাঙা ছিন্নামোড় পঞ্চায়েতের নান্দা হরিমতি বিদ্যালয় ভোট দেন দুই প্রবীণার মধ্যে একজনের বয়স ১০৩ বছর আরএকজনের বয়স ১০৫বছর। দুই প্রবীণ ভোটারকে ভোটদানে সহযোগিতা করেন তাঁদের বৌমারা। দুর্গাপুরে গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উত্সবে যোগ দেন প্রবীণতম ভোটার হারাধন সাহা। সকাল সকাল তিনি চলে যান পঞ্চায়েত গড়ার মহাষজ্ঞে সামিল হতে।
১০৪বছরের ভোটারকে দেখে সহ-নাগরিকরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।যাতে তাঁকে লাইনে দাঁড়াতে না হয় সেজন্য অন্য ভোটাররা সরে দাঁড়ান।শনিবার নাতির সঙ্গে অটোতে চড়ে আসেন হারাধন।তারপর তরতাজা যুবকের মতো সরস্বতীগঞ্জের ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন।শান্তির ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া দেখে তিনিও অভিভূত।উত্সবের আমেজ গায়ে মেখে আগামীতেও লোকতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পক্ষেই এগিয়ে যেতে চান।