
The Truth of Bengal: একুশের বিধানসভার পর এসেছিল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। খোঁজখবর করে অনেক খুঁত ধরেছিল। কিন্তু বাংলার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শাসকদলের মতো কেন বিরোধীরা সংযত নয় সেই প্রশ্ন তুলতে পারেনি। কে্ন্দ্রের কাছে গিয়ে বড় মুখ করে বাংলার বিরুদ্ধে বললেও নিরপেক্ষতা দেখাতে পারেনি। বিজেপির সেই তথ্যানুসন্ধানী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। যিনি এখন এই রাজ্যের রাজ্যপাল।এখন সেই রাজ্যপালই বাংলায় ঘুরছেন,হিংসার শিকড় সন্ধানের অপেক্ষায়।
আর এই রাজ্যে আসা বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম সেই রাজ্যপালের দরবারে গিয়ে নালিশ করলেন। অশান্তির খোঁজ নিতে আসা চার সদস্যের টিমের কথার মূলে রয়েছে সেই ঘুরেফিরে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী সহ রাজ্যের একাংশে পরিদর্শন করেন রবীশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বাধীন টিম। তাঁরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা না বলে,কেন বিজেপির কর্মী –সমর্থকদের সঙ্গে কথা বললেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তৃণমূল কংগ্রেস বলছে,তাঁদের সমর্থকদের বাড়িতে কেন টিম এল না? যেখানে নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক,সেখানে কেন এই দ্বিচারিতা? ভাগাভাগির এই বিভাজনকামী অভিসন্ধিকে তুলোধনা করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম আসলে বিজেপির প্রোটেকশন এন্ড প্রোভোকেশন টিম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই ফিরহাদ হাকিম বলেন,বাংলায় বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোল নিয়ে তোলপাড় ফেলার ছক না কষে হিংসাদীর্ণ মণিপুর বা যোগীরাজ্যে যান। বিতর্ককে সঙ্গী করেই বাংলায় ঘোরে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। নাগরিকদের একাংশ বলছে,রাজনীতির রং বিচার না করে মানুষের স্বার্থে বাংলার সার্বিক উন্নয়নে বরং সদয় হোক কেন্দ্রের শাসকদল ও তাঁদের নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলো।