
The Truth of Bengal: চার বছর চিনে নিয়েছে মানুষ। প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি শুনে আর ভুলতে রাজি নয়। মোহভঙ্গ হওয়ায় পঞ্চায়েতে প্রত্যাশিত ফল করতে পারেনি বিজেপি। কারণ আঠারোয় বিজেপিকে মেদিনীপুরের মানুষ হাত খুলে জনাদেশ দিলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। কেন্দ্রের প্রকল্পের কথা বলা হলেও সুফল পৌঁছে দিতে এগিয়ে আসেননি কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা। তাই মেদিনীপুরে উলটপূরাণ।
জেলা পরিষদের ৬০টি আসনের মধ্যে ৬০টিতেই ফুটল ঘাসফুল। আর কেশিয়ারি পঞ্চায়েত সমিতিতে যেখানে আঠারোয় তৃণমূল পেয়েছিল ৮টি আসন,তৃণমূলকে ১টি আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। তেইশে ঘুরে গেল হাওয়া। তৃণমূল ৮টি জিতে নিলেও বিজেপির হাতে ১টি পড়ে। গড় হারানোর ভয়ে গোপীবল্লভপুরের ভূমিপুত্র গিয়েছিলেন দেখতে। কিন্তু কেশিয়ারির কাউন্টিং স্টেশনে যাওয়ার আগেই দিলীপ ঘোষকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান কিছু মানুষ।
কাউন্টিং স্টেশনে না গিয়ে ১০০ মিটার দূরে বিজেপির ক্যাম্পে বসে সময় কাটান দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলের দাবি, ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেশিয়াড়িতে নটি অঞ্চলের মধ্যে আটটি অঞ্চল জয় করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই নিজেদের পরাজয় স্বীকার করতে না পেরে ইচ্ছাকৃতভাবে বিশৃংখলার পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। ভোটে পরাজিত হয়ে বহু এলাকায় বিরোধীরা বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে। গেরুয়া প্ররোচনায় পা না দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সংযত থাকার বার্তা দেন মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সুজয় হাজরা।