বাংলাদেশে গোমাংস পাচারে ছাড়পত্র দিয়েছেন বিজেপি মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, প্রমাণ সহ সোচ্চার মহুয়া মৈত্র
BJP minister Shantanu Thakur has given clearance to beef smuggling in Bangladesh

The Truth of Bengal: বাংলাদেশে গোমাংস পাচারে ছাড়পত্র দিয়েছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এই অভিযোগে শান্তনু ঠাকুরকে বিঁধেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কিভাবে প্রশয় দিচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কিভাবে বিএসএফের ছাড়পত্র মিলছে তা নিয়ে তৃণমূল নেতারা সরব হয়েছেন। সীমান্তে নজরদারির অভাব নিয়ে বিজেপি সরকারেও সমালোচনার মুখে পড়ছে। আবারও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে শান্তনু ঠাকুর।কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এবার গুরুতর অভিযোগ।
বিরোধীরা বলছে, যাঁরা গোহত্যার বিরুদ্ধে প্রচার করে সেই বিজেপি সরকারের মন্ত্রীই কিনা বাংলাদেশে গোমাংস পাচারে ছাড়পত্র দিচ্ছেন। এই সংবেদনশীল ইস্যুতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সরাসরি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আঙুল তুলেছেন তিনি। বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের লেটারহেড প্যাডে সীমান্তে গোমাংস বিনিময়ের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, তথ্যপ্রমাণ-সহ তা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন মহুয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় মহুয়া তিনি লেখেন, বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের লেটারহেড প্যাডে বিএসএফের ৮৫ নং ব্যাটেলিয়নের নাম উল্লেখ রয়েছে।
Union Minister has printed forms on official letterhead to @BSF_India 85BN issuing “passes” for smugglers on Indo-Bangla border. In this case for allowing 3 kgs of Beef.
Hello @HMOIndia , Gau Rakshak Senas, Godi Media. pic.twitter.com/iYXdihtrVI
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) July 8, 2024
জনৈক জিয়ারুল গাজি নামে এক ব্যক্তির ৩ কেজি গোমাংস সীমান্তের ওপারে পাঠানোর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে এবং তা দিয়েছে বিএসএফ। জিয়ারুল ক্যামেরার সামনে এই পাচারের কথা স্বীকারও করেছেন বলে দাবি করছে স্থানীয়রা। যদিও শান্তনু ঠাকুর এই ঘটনাকে অপপ্রচার বলে উল্লেখ করেন। তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরণের ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছে। কে্ন্দ্রের প্রশয়ে পাচার বাড়ছে,আর বিজেপি রাজনীতি করছে বলে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। তাই সংবেদনশীল এই ইস্যুতে বিজেপি যে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে বা বেকায়দায় পড়েছে,সেকথাই মনে করছেন সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।