
The Truth Of Bengal: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তার আগে চার রাজ্যের ভোটে ভরাডুবি কংগ্রেসের। গোবলয়ের ৩ রাজ্যে পদ্মকাঁটায় বিদ্ধ হল হাত। অথচ এই তিন রাজ্যে ভাল ফলের প্রত্যাশা করেছিল কংগ্রেস। সরকার গড়ার আত্মবিশ্বাস ছিল তাদের। কিছুটা পিছিয়ে থেকে ভোটে লড়ে শেষ হাসি হাসল বিজেপি। লোকসভা ভোটের আগে এই জয় বিজেপিকে অনেকটাই অক্সিজেন দিল। রাজনৈতিক মহল মনে করছে বিজেপির সাফল্যে চাপে পড়ে গেল ইন্ডিয়া জোট।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরাট সাফল্য পেল গেরুয়া শিবির। তিন রাজ্যে বড় জয় পেল তারা। তেলেঙ্গানায় ক্ষমতা দখল করলেও রাজস্থান ও ছত্তিসগড় হারিয়ে অনেকটাই চাপে পড়ে গেল কংগ্রেস। গো-বলয়ের ৩ রাজ্য রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে পদ্মকাঁটায় বিদ্ধ হল হাত। ভোটের আগে এই তিন রাজ্যে ভাল ফলের প্রত্যাশা করেছিল কংগ্রেস। সেই জন্য প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তারা। সরকার গড়ার আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকায় কারও হাত না ধরে একাই চলে কংগ্রেস। কিছুটা পিছিয়ে থেকে ভোটে লড়ে বিজেপি। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার চাপের সঙ্গে দলের অন্দরে মতান্তর নিয়ে ভোটে লড়তে হয়েছিল বিজেপিকে। তা সত্ত্বেও শেষ হাসি হাসল গেরুয়া শিবির। লোকসভা ভোটের আগে এই জয় বিজেপিকে অনেকটাই বাড়তি অক্সিজেন দিল। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজেপির এমন সাফল্যে চাপে পড়ে গেল ইন্ডিয়া জোট। এই জোটের বড় শরিক কংগ্রেস কার্যত একলা চলার নীতি নিয়েছিল। পাঁচ রাজ্যের ভোটে ইন্ডিয়া জোটকে উপেক্ষা করে প্রচার করে কংগ্রেস। কোথাও প্রচারে ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের ডাকা হয়নি। মধ্যপ্রদেশ-রাজস্থানে সমাজবাদী পার্টি-সিপিএমের মতো ছোট দলগুলিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। অথচ এই দুটি দল ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক। যার মাসুল দিতে হাত শিবিরকে।
এদিকে, বিধানসভা নির্বাচনের ফলের মধ্যে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের পরবর্তী বৈঠকের দিন নির্ধারণ হল। আগামী বুধবার ৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে বসছে বৈঠক। মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে বিধানসভার ফলাফল নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কেন তিন রাজ্যে কংগ্রেসের এই ভরাডুবি হল? কী ভাবে আটকানো যাবে বিজেপির বিজয়রথ? মূলত সেই সব নিয়ে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে।
বিজেপির এই সাফল্যে দলের কর্মী সমর্থকরা আবার বলার সুযোগ পেয়ে গেল, ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’। গো-বলয়ের তিন রাজ্যে যথেষ্ট কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল বিজেপির সামনে। সেই তিন রাজ্যে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে মুখ করে লড়াই করে বিজেপি। পুরো প্রচার অভিযানই চলে মোদিকে সামনে রেখে। মোদি হাল ধরায় স্থানীয় স্তরে যা কিছু মতান্তর ছিল নেতাদের মধ্যে তা উবে যায়। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা, সাংগঠনিক দুর্বলতা সব চাপা পড়ে যায় মোদি ক্যারিশ্মায়। তিন রাজ্যে জয়ের পর গেরুয়া আবির উড়িয়ে তাই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বলতে পারছেন, ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’।
Free Access