রাজনীতিরাজ্যের খবর
Trending

শৈলশহরের উন্নয়নে ৭৫কোটি টাকা বরাদ্দ, কার্শিয়াংয়ে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর,

75 Crore Allocated for the Development of North Bengal

The Truth Of Bengal: পাহাড়ের সঙ্গে রক্তের সম্পর্কের কথা তুলে ধরে শৈলশহরের উন্নয়নে ৭৫কোটি টাকা বরাদ্দের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।কার্শিয়াংয়ের পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠান থেকে তিনি ঘোষণা করেন,বাংলা শিল্প সম্মেলনে ৩৪হাজার টাকা বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে।আগামীদিনে দার্জিলিং ও কালিম্পঙে গড়া হবে তথ্যপ্রযুক্তির হাব।শিল্প থেকে শিক্ষার উন্নতির জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বানও জানান মুখ্যমন্ত্রী।একইসঙ্গে তিনি মঞ্চ থেকে বিরোধীদের কোনও প্ররোচনা বা প্রতিশ্রুতিতে কান না দেওয়ার আবেদনও করেন।

পাহাড়ের শান্তি থাকলেই উন্নয়ন হবে,শিল্পায়নে গতি আসবে।শৈলশহরের  শান্তি পরিবেশের কথা তুলে ধরে আবার শিল্পের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীরা  উস্কানি দিয়ে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি করলেও কোনওভাবেই যাতে পাহাড়বাসী কান না দেন সেজন্য আবেদনও জানান তিনি। বিজেপি সহ বিরোধীরা কখনও বঙ্গভঙ্গের উস্কানি দিয়েছে,কখনও আবার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দের কথা দিয়েছে কিন্তু কাজের কাজ যে করেনি সেকথা মনে করিয়ে দেন প্রশাসনিক প্রধান।সর্বধর্ম ও সব ভাষাভাষি মানুষ এক থাকলে কিভাবে উন্নয়ন হতে পারে তার রূপরেখাও উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে। খতিয়ান দিতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তথ্য দেন,

  •  দুদিনের পরিষেবা প্রদানে উপকৃত ৩৩হাজার মানুষ
  • কার্শিয়াঙে ১,২০০জনকে পাট্টা প্রদানের তত্পরতা
  • জিটিএ কে ৭৫ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা
  • ২০১৯ সালের পে রুলে  কর্মীদের  বেতন সংশোধন
  • জিটি এ কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির মতোই বিকেন্দ্রীকৃত পথে উন্নয়ন তরান্বিত করার কথাও দেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিস্তায় বন্যাদের ক্ষতিগ্রস্ত আর্থিক সাহায্য থেকে পাহাড়বাসীর জীবনযাত্রার মাণোন্নয়নেও গুরুত্ব দেন তিনি।দার্জিলিং,কালিংপং,মিরিক সহ সমস্ত অঞ্চলের সম বিকাশও সম্পদকে কাজে লাগিয়ে শিল্পে গতি আনার বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলা শিল্প সম্মেলনে বিপুল সাড়া মেলার পর সম্ভাবনাময় শিল্পের হাত ধরে উত্তরবঙ্গের উত্তোরত্তর শ্রীবৃদ্ধির প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি।

  • পাহাড়ে আরও ২টি আইটি হাব গড়া হবে
  • তৈরি  হবে সম্ভাবনাময় ইনডাস্ট্রিয়াল পার্ক
  • চা সুন্দরী প্রকল্পে ৩লাখ পাকা বাড়ি নির্মাণ
  • ৩লাখ ৩২হাজার বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ

প্রশাসনিক প্রধানের তথ্যে মেলে, ৮৩ হাজার বাড়িতে পৌঁছেছে পানীয় জলের পরিষেবা। বাকি ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ করা হবে।পাহাড়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শিল্পপতিরা দরাজ হাতে বিনিয়োগ করছেন।শিলিগুড়িতে বাংলার শিল্প সম্মেলনে  বিপুল বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে।আগামীদিনে আরও লগ্নির  জমি তৈরি হচ্ছে।উত্তরবঙ্গের যুবসমাজের কাজের সুযোগ যে তাতে বাড়বে তা শৈলশহরের মানুষকে আশ্বস্ত করেন।

Free Access

Related Articles