৩ ফুট উচ্চতা হওয়ায় প্রতিনিয়ত শুনতে হতো কটাক্ষ, সব বাধা পেরিয়ে আজ আইএএস হলেন আরতি ডোগরা

রাজস্থানের আজমিরের কালেক্টর আরতি ডোগরা। তার উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ২ ইঞ্চি। কিন্তু তার এই শারীরিক অক্ষমতা তাকে থামাতে পারেনি। তিনি ২০১৬ সালে আইএএস অফিসার হন। তার এই সাফল্য একদিকে যেমন তার মেধা ও পরিশ্রমের পরিচয় দেয়, অন্যদিকে তা সমাজের কাছে একটি বার্তাও দেয়। তা হল, উচ্চতা বা শারীরিক অক্ষমতা কোনোভাবেই সাফল্যের অন্তরায় নয়।
আরতির জন্ম ১৯৯০ সালে। তার বাবা সেনাবাহিনীর কর্নেল এবং মা একজন স্কুলশিক্ষিকা। ছোটবেলা থেকেই আরতির উচ্চতা অন্যদের তুলনায় কম ছিল। চিকিৎসকরা তাকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তার উচ্চতা আর বাড়বে না। কিন্তু আরতি এই অক্ষমতা মানতে রাজি ছিলেন না। তিনি মেধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের লক্ষ্য অর্জন করতে চেয়েছিলেন।
স্কুলজীবনেই আরতি ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্রী। তিনি রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত ও অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি আইএএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং প্রথমবারের চেষ্টায় সফল হন।
আইএএস অফিসার হওয়ার পর আরতি রাজস্থানের বিভিন্ন জেলায় জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন দক্ষ ও জনপ্রিয় প্রশাসক হিসেবে পরিচিত। তিনি বিশেষ করে বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারদের ভোটদানে সহায়তা করার জন্য কাজ করেছেন। ২০১৯ সালের জাতীয় ভোটার দিবসে তিনি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে পুরস্কার পান।
আরতির সাফল্য শুধু তার নিজের জন্য নয়, সমাজের জন্যও একটি অনুপ্রেরণা। তিনি প্রমাণ করেছেন যে উচ্চতা বা শারীরিক অক্ষমতা কোনোভাবেই সাফল্যের অন্তরায় নয়। তার সাফল্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে মেধা ও পরিশ্রমই সবকিছু।