লাইফস্টাইল

চাল ধোয়া জলে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল-ত্বক

Lifestyel

The Truth of Bengal: রাসায়নিক মেশানো বিউটি প্রোডাক্ট নয় উজ্জ্বল ত্বক আর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল এক ঢাল চুল পেতে ভরসা থাকুক প্রাকৃতিক উপাদানের ওপর। চুল আর ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভীষণ উপকারী হল চালধোয়া জল। স্কিন হোয়াইটনিং, ব্রাইটেনিং, অ্যান্টি এজিং স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টে রাইস ওয়াটার বা চাল ধোয়া জলের ব্যবহারের প্রচলন আছে। সৌন্দর্য রক্ষায় চাল ধোয়া জলের ব্যবহার একেবারেই এশিয়া মহাদেশের নিজস্ব ফর্মুলা। ১ হাজার বছর আগেও জাপানে এর ব্যবহারের খোঁজ মিলেছে। জাপানি ও কোরিয়ান রূপচর্চায় প্রাচীনকাল থেকেই চাল ধোয়া জলের ব্যবহারের প্রচলন আছে। যে কোনো ফেস মাস্কের মধ্যে তরল উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করুন চাল ধোয়া জল। ত্বকের কালচে ভাব, দাগছোপ দূর হবে। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চকচকে দাগহীন ত্বক মিলবে। কারণ, ভাতের ফ্যান অথবা চাল ধুয়ে ভিজিয়ে রাখলে যে জল পাওয়া যায় তা প্রাকৃতিক ভাবে অত্যন্ত গুণসম্পন্ন। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে বলে চাল ধোয়া জল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আর অ্যান্টিইনফ্লেমাটরি গুণসম্পন্ন।চাল ধোয়া জলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। বয়স কম দেখায়, ময়েশ্চারাইজ হয়, ঠান্ডা অনুভব হয়।

২ ভাবে চাল ধোয়া জল তৈরি করা যায়-১) এক কাপ যে কোনো ধরণের চাল নিন। ৩০ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখুন। একটা পাত্রে ভরে রেখে চাল ধোয়া জল ব্যবহার করুন। ২) ভাতের ফ্যান ফেলে না দিয়ে ঠান্ডা করে কাচের পাত্রে ভরে ফ্রিজে রাখুন। সপ্তাহে একদিন করে তা ব্যবহার করুন।

চুল আর ত্বকের জন্য কীভাবে চাল ধোয়া জল ব্যবহার করবেন-
• ফেস টোনার হিসাবে ব্যবহার করুন চাল ধোয়া জল। সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ত্বকের অকালে বুড়িয়ে যাওয়া আটকায়।
• সূর্যের আলোয় ত্বক পুড়ে গিয়ে লালচে কালো হয়ে যায়। চাল ধোয়া জল আর অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ত্বক লাগালে সানবার্ন আর ট্যানিং বা রোদে পুড়ে কালো ভাব কমে যায়। ২০১৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে রাইস ওয়াইন (বাসি ভাত জলে চটকে নিলে যে তরল মেলে) রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বকের আরো ক্ষতি হওয়া আটকায়। রাইস ওয়াইন ত্বকের কোলাজেনের মাত্রা বাড়ায়, কুঁচকে যাওয়া আটকায়। রাইস ওয়াইনে প্রাকৃতিক ভাবে সানস্ক্রিন আর অ্যান্টিএজিং গুণ আছে।
• ফ্রিজের মধ্যে থাকা আইস কিউব ট্রেতে ভরে চাল ধোয়া জল বরফ করে নিন। সেই বরফ মুখে, গলায়, হাতে, পায়ে লাগান। ফুসকুড়ি, ব্রণর ঝামেলা দূর হয়ে উজ্জ্বল ত্বক মিলবে। ত্বকের ফোলাভাব কমে গিয়ে নরম হবে।
• অনেক বিউটি প্রোডাক্টে সোডিয়াম লরেল সালফেট (SLS) থাকার কারণে ত্বকে চুলকানি হয়। ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। দিনে ২ বার চাল ধোয়া জল লাগালে উপকার মেলে।
• একজিমার মতো ত্বকের সমস্যা দূর হয় চাল ধোয়া জলে। ২০১৬ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে সানস্ক্রিন গুণ থাকায় চাল ধোয়া জল ত্বককে রোদের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচায়।
• চাল ধোয়া জল রাসায়নিকমুক্ত হেয়ার ক্লিনজার। তাই এই চাল ধোয়া জল চুলে লাগালে জট পাকানো, কোঁকড়ানো ভাব কমে, চুলে শাইন ভালো হয়।
• চাল ধোয়া জল আর এসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
• তুলোর বল চাল ধোয়া জলে ভালো করে ভিজিয়ে নিয়ে গলায় ও মুখে লাগান। হালকা ভাবে ম্যাসাজ করে মুখ ধুয়ে নিন। চাল ধোয়া জল, অল্প পরিমাণে সি সলট বা সমুদ্রের নুন, এসেন্সিয়াল অয়েল আর লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে হাতে পায়ে ঘষলে মৃত কোষ উঠে যাবে।

Free Access

Related Articles