
The Truth Of Bengal : শরীরের বাড়তি চর্বি গলিয়ে ওজন কমানোর অনেক চেষ্টা করেছেন? কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না? তা’হলে হাত বাড়ান ‘জাপানিজ ওয়াটার থেরাপি’-র দিকে। জলেই ঝরুক বাড়তি মেদ।
কী এই জাপানিজ ওয়াটার থেরাপি?
জাপানিজ ওয়াটার থেরাপির আরেক নাম হল মিজু নো রিউহো। এই পদ্ধতিতে খালি পেটে সকালে ঘুম থেকে উঠে নির্দিষ্ট পরিমাণে জল খেতে হবে। তাতে একদিকে যেমন বাড়তি মেদ ঝরে তেমনই এনার্জিও মেলে।
কীভাবে করতে হয় জাপানিজ ওয়াটার থেরাপি?
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ৬-৭ গ্লাস ঈষদুষ্ণ গরম জল খেতে হবে। এরপর ৩০-৪৫ মিনিট কোনো রকম খাবার খাওয়া যাবে না। এমনকি তরল পানীয়ও খাওয়া যাবে না। একসঙ্গে নয় পরিমাণমতো খাবার বারেবারে খেতে হবে।
কী লাভ হয় জাপানিজ ওয়াটার থেরাপিতে?
১) নির্দিষ্ট পরিমাণে ঈষদুষ্ণ গরম জল খেলে পেট ভরা থাকে। কম খিদে পায়। ক্যালরি কম জমা হয়।
২) ঈষদুষ্ণ গরম জল সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের হয়ে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর হয়। খাবার ভালো করে হজম হয়।
৩) জল খেলে শরীরে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা বজায় থাকে। এনার্জি বাড়িয়ে তোলে।
জাপানিজ ওয়াটার থেরাপির ঝুঁকি কোথায়?
খালি পেটে জল খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিনের পাশাপাশি সোডিয়াম, পটাশিয়ামও বের হয়ে যায়। তাই অনেক সময় অনেকের রক্তে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রার তারতম্য ঘটে। বেশি পরিমাণে জল খেলেও অনেকের পেট ফাঁপা ও বমিবমি ভাব দেখা যায়। হাইপোনেট্রিমিয়ার মতো এক বিরল রোগ হয়। এই রোগে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে যায়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ মতো জাপানিজ ওয়াটার থেরাপি করুন।
FREE ACCESS