প্রিয়জনকে আপনার আলিঙ্গনই বুঝিয়ে দেবে আপনি তাঁকে কতটা ভালোবাসেন
Hugging your loved ones will show how much you love them

Truth Of Bengal :মৌ বসু : শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি সেই কাঙ্খিত দিন ভ্যালেন্টাইন ডে। ভালোবাসা এবং অনুরাগ উদযাপন করা হয় ওই বিশেষ দিনে। বিশেষ দিন আসার আগেই আমরা পুরো সপ্তাহ জুড়ে পালন করছি প্রেমের সপ্তাহ। ভ্যালেন্টাইন ডে বা প্রেমের সপ্তাহর ষষ্ঠ দিন পালন করা হয় আলিঙ্গন দিবস।ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশের অন্যতম মাধ্যমহল আলিঙ্গন।
আমরা যখন খুব উত্তেজিত, আবেগপ্রবণ হয়ে উঠি, দুঃখে অথবা খুশিতে আমরা প্রিয়জনকে পরম আশ্লেষে জড়িয়ে ধরি। আলিঙ্গন বা ইংরেজিতে যাকে বলে Hugging আমাদের কমফোর্ট দেয়। আমাদের শারীরিক ও মানসিক ভাবে চাঙ্গা ও স্বাস্থ্যবান রাখতে সাহায্য করে আলিঙ্গন।
আপনার আলতো ছোঁয়াই বুঝিয়ে দেবে প্রেমের প্রতি আপনি কতটা বিশ্বস্ত। প্রিয়জনকে আপনার আলিঙ্গনই বুঝিয়ে দেবে আপনি তাঁকে কতটা ভালোবাসেন এবং আপনি সমস্ত বিপদ থেকে কতটা আগলে আগলে রাখেন।গবেষণায় দেখা গেছে আলিঙ্গন হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
যদি আপনার প্রিয়জন মানসিক ও শারীরিক কষ্টের মধ্যে থাকেন তাঁকে একবার জড়িয়ে ধরুন। স্পর্শের মাধ্যমে আপনার এই টাচ তাঁর সমস্ত দুশ্চিন্তা কমিয়ে দেবে। আমাদের মস্তিষ্ক থেকে নিসৃত অক্সিটোসিন হরমোনকে কাডল হরমোন বা লাভ হরমোন বলেন। আমরা যখন কখনো কারোকে জড়াই তখন অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণ হয়। এই হরমোন আমাদেরকে মানসিক ভাবে সুখি অনুভব করতে সাহায্য করে। এই হরমোন সামাজিক বন্ধন বাড়াতেও সাহায্য করে। কেন না, নিউরো-পেপটাইড অক্সিটোসিন হরমোন আমাদের মধ্যে সততা, অনুরাগ বাড়িয়ে তোলে। প্রেমের সম্পর্ক মজবুত করতে যা একান্তই প্রয়োজন।
প্রিয়জনকে আলিঙ্গন শুধু আপনার মনকেই নয় শরীরকেও ভালো রাখতে সাহায্য করে। যখন কেউ আপনাকে জড়ায় তখন ত্বকের মধ্যে থাকা পাসিনিয়ান কর্পাসেলস নামক প্রেসার রিসেপ্টর মস্তিষ্কে সংকেত পাঠিয়ে রক্তচাপ কমিয়ে দেয় যা হার্টের ভালো থাকার পক্ষে খুবই জরুরি। প্রিয়জনের ছোট্ট ছোঁয়া হার্টের গতিবেগ বাড়িয়ে তোলে অন্তত ১০ বিট। একটি গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন আলিঙ্গন মানুষের অসুস্থতায় পড়া আটকায়।
গবেষণায় দেখা গেছে যে সব অংশগ্রহণকারীর সাপোর্ট সিস্টেম অত্যন্ত স্ট্রং মানে তার পাশে ঢাল হয়ে রয়েছে প্রিয়জন তারা কম অসুস্থ হয়েছে। অসুখ হলেও উপসর্গ কম থাকায় সেরে উঠেছে তাড়াতাড়ি। কিন্তু যাদের সাপোর্ট সিস্টেম ছিল না তারা বেশি অসুস্থ হয়েছে।
আলিঙ্গন আমাদের নিরাপদ বোধ করায়। ১০ সেকেন্ডের আলিঙ্গন অবসাদ কমায়, ক্লান্তি দূর করে। আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। কথা বলা ও ফেশিয়াল এক্সপ্রেশন ছাড়াও স্পর্শের মাধ্যমেও আমরা কমিউনিকেট করি। আমেরিকার ওহিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে একাকীত্ব বাড়তে থাকে। যা মানসিক উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে। প্রিয়জনের আলিঙ্গন একাকীত্ব কমিয়ে দিয়ে আপনাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তুলবে।