
The Truth of Bengal: বাঘের এনক্লোজারে লাগানো হল শ্বেত চন্দন ও রক্ত চন্দন গাছ। এমন উদ্যোগ নেওয়া হল আলিপুর চিড়িয়াখানায়। ১৪ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে বন উৎসব। সেই উপলক্ষে আলিপুর চিড়িয়াখানায় বসানো হল শ্বেত চন্দন ও রক্ত চন্দন গাছ। ভারতবর্ষে যে কটি চিড়িয়াখানা রয়েছে তার মধ্যে চতুর্থ স্থানে আছে আলিপুর চিড়িয়াখানা। ন্যাশনাল জু অথরিটি’র গাইডলাইন অনুযায়ী, একটি চিড়িয়াখানায় মোট জমি ৩০ শতাংশ সবুজ থাকার কথা।
বর্তমানে আলিপুর চিড়িয়াখানায় ১৯ একর জমি রয়েছে। যার ২০ শতাংশই সবুজায়ন করা সম্ভব হয়েছে। আগামী এক বছরে আরো ৫ শতাংশ এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে বলে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে। প্রাণীর সংখ্যা বাড়াতে নতুন চার ধরনের বিশেষ প্রজাতির পাখি, সরীসৃপ প্রাণী বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তু আনার পরিকল্পনা করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। যা আগামী তিন মাসের মধ্যে এই আলিপুর চিড়িয়াখানায় নতুন আকর্ষণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পুজোর আগে নতুন সাজে সেজে উঠতে চলছেন আলিপুর চিড়িয়াখানা।
পুজোর মাস থেকে চিড়িয়াখানায় মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে। তারপর শীতের মরসুমে টানা সেই ভিড় থাকে। প্রতি বছর শীতের মরসুম শুরুর আগে সাজিয়ে তোলা হয় চিড়িয়াখানা। ডিসেম্বরের মধ্যে আলিপুর চিড়িয়াখানার মূল প্রবেশদ্বার সহ সব এনক্লোজারের সৌন্দর্যায়নের কাজ শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।