সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রচার বাড়াচ্ছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর
The Consumer Protection Department is increasing its campaign to make the general public aware.

Truth Of Bengal: সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর প্রচার বাড়াচ্ছে।বিশ্ব উপভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে ৫দিনের বিশেষ ট্যাবলো বের করা হয়েছে।জনস্বার্থে একথা তুলে ধরেছেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র।বাজার অর্থনীতির যুগে বাজারজাত পণ্য নিয়ে প্রতারণা ঠেকাতে আইনকে কার্যকরী করা হচ্ছে বলেও দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।
বাজার অর্থনীতির যুগে ক্রেতাই আসল কথা।আর সেই ক্রেতাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে বাংলার সরকার সচেতনতার পাঠ দিয়ে চলেছে। বিশ্ব উপভোক্তা অধিকার দিবসে সেই ক্রেতাদের সুরক্ষিত রাখার প্রচারকে বাড়াচ্ছে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।১৯৮৩ সালে প্রথম এই দিনটি উদযাপিত হয়েছিল। ১৯৬২ সালের এই দিনটিতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি প্রথম বিশ্ব নেতা হিসেবে ক্রেতাদের অধিকারকে স্বীকৃতি জানিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে এই বিষয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন।
মানুষের মৌলিক চাহিদা ও অধিকারের কথা তুলে ধরতে এবার বিশেষ প্রচারাভিযানে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এবছর উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর ‘বিশ্ব উপভোক্তা অধিকার দিবস’ উদযাপন উপলক্ষ্যে সেমিনার এবং সর্ব সাধারণের জন্য ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। ফোকাস করা হচ্ছে, ই-কমার্স, সাইবার সিকিউরিটি, চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবহেলা, রিয়েল এস্টেট এবং ব্যাঙ্কিং।
এই বিষয়গুলির নিয়ন্ত্রক সরকারি সংস্থা বা দপ্তরের বিশেষজ্ঞরা সেমিনারে তাঁদের মতামত প্রকাশ করবেন।প্রত্যেক বক্তৃতার পর বক্তব্য বিষয়ে সর্বসাধারণের জন্য ক্যুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া ‘বিশ্ব উপভোক্তা অধিকার দিবস’ উপলক্ষ্যে পাঁচ দিনের বিশেষ ট্যাবলো প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতির পরিসর যেমন বদলাচ্ছে, তেমনই বদলাচ্ছে উপভোক্তাদের কেনাকাটার পদ্ধতি, কেনাকাটার বিষয়। একই সঙ্গে উপভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণার ধরণও বদলাচ্ছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ২০২০ সালের ২০ জুলাই উপভোক্তা সুরক্ষা আইন, ২০১৯ সারা দেশজুড়ে কার্যকর করা হয়েছে। এই আইনে উপভোক্তাদের সুরক্ষার পরিধি আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এই আইন উপভোক্তা সুরক্ষা ও উপভোক্তণ বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যেমন উপভোক্তা কমিশনের আঞ্চলিক অধিক্ষেত্র এবং আর্থিক এক্তিয়ারের পরিমার্জন করা হয়েছে। অধিকতর শক্তিশালী ও যুগোপযোগী এই আইনে কয়েকটি নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত ধরা হয়েছে যেমন মেডিয়েশন, ই-কমার্স বিধি, প্রত্যক্ষ বিক্রয় বা ডাইরেক্ট সেলিং বিধি, সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটি ইত্যাদি।
আগামী দিনে সাধারণ মানুষের স্বার্থে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওযার ইঙ্গিত দিয়েছেন মন্ত্রী। উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র ছাড়াও অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন, রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী শ্রীকান্ত মাহাত, প্রধান সচিব শ্রীমতি নীলম মীনা সহ বিশিষ্টরা।ক্রেতাদের কল্যাণে বাংলার সরকারের এই উদ্ভাবনী ভাবনা আশার আলো জাগাচ্ছে।