কলকাতা

ট্যাংরা কাণ্ড: আত্মহত্যার চেষ্টার পর খুন ও দুর্ঘটনা! তদন্তে নতুন মোড়

Tangra incident: Murder and accident after suicide attempt, new twist in investigation

Truth of Bengal: ট্যাংরার দে পরিবারের হৃদয়বিদারক ঘটনার পর গোটা শহর তোলপাড়। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ১৭ তারিখ রাতে আত্মহত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে একসঙ্গে ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন পরিবারের ছয় সদস্য। কিন্তু সকালে পুরুষ সদস্যদের ঘুম ভেঙে গেলেও মহিলা সদস্যরা তখনও গভীর ঘুমে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই কারণেই হয়তো সুদেষ্ণা ও রোমিকে ঘুমন্ত অবস্থায় হাতের শিরা কেটে খুন করা হয়। পরিকল্পনা ছিল, দুই ভাই প্রসূন ও প্রণয় তাঁদের নাবালক সন্তানকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে তারপর আত্মহত্যা করবেন। কিন্তু নাবালক রাজি না হওয়ায় তাঁরা সমস্যায় পড়েন।

এরপর তাঁরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের দিকে রওনা দেন। তাঁদের গাড়ি পার্ক সার্কাস, সায়েন্স সিটি হয়ে ইএম বাইপাসে পৌঁছনোর পর ঘটে দুর্ঘটনা। আহত অবস্থায় দুই ভাই দাবি করেছেন, তাঁরা আত্মহত্যার পরিকল্পনাই করছিলেন।

তবে তদন্তে বেশ কিছু অসঙ্গতি মিলেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, সুদেষ্ণা ও রোমি মৃত্যুর তিন থেকে ছয় ঘণ্টা আগে খাবার খেয়েছিলেন। তাহলে কি তাঁরা মাঝরাতে উঠে খেয়ে আবার ঘুমিয়েছিলেন? এ বিষয়টি নিয়েও চলছে জোরালো তদন্ত। এছাড়া, হাতের শিরা কাটার ধরনও সন্দেহজনক বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

ঘটনার মূল কারণ হিসেবে উঠে আসছে ঋণের বোঝা। দে পরিবার মোট ছ’টি ব্যাংক ও বিভিন্ন এজেন্সি থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছিল। এমনকি বাড়িটিও বন্ধক রাখা হয়েছিল। সবমিলিয়ে ঋণের অঙ্ক কোটি কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আর্থিক সমস্যাই কি এই করুণ পরিণতির কারণ? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোনও রহস্য? পুলিশ সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে।

Related Articles