মোবাইল চুরির সন্দেহে বেধড়ক মারধর, বউবাজারে গণপিটুনিতে মৃত্যু একজনের
One person was beaten up on suspicion of stealing a mobile phone, and one person died in a mob thrashing in Boubazar

The Truth Of Bengal: মোবাইল চুরির অভিযোগে হাত পা বেঁধে মারধর এক যুবককে।ছাত্রাবাসের মধ্য কয়েকজন আবাসিকদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ।বউবাজারের সেই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।পিটিয়ে খুন করার গুরুতর অভিযোগ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু হয় যুবকের। কোমরের নিচে আঘাত ছিল জোরালো।তবে মৃত ব্যক্তির দেহে রক্তের কোনও চিহ্ন ছিল না।
এই বেআইনিও অমানবিক ঘটনায় পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করতে তত্পর। গণপিটুনির অভিযোগ ১৪জন কে আটক করা হয়।তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।অভিযুক্তরা ছাত্রাবাসের ভিতরেই থাকেন। মৃত ব্যক্তির দেহে রক্তের চিহ্ন ছিল না। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
কিভাবে এই আইন হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনা বাড়ছে ? কেন অকারণে যুবককে সন্দেহ করে বেধড়ক মারধর করা হল,তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে স্থানীয়রা।মৃতের স্ত্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।সেই ভিত্তিতে চলছে তদন্ত। কারা এই গণপিটুনির ঘটনায় জড়িত রয়েছে,তাঁদের খুঁজে বের করতে পুলিশি তত্পরতা জারি আছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ওই যুবকের নাম এরশাদ আলম। বেলগাছিয়া এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক।
ওই হোস্টেলের সামনে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মৃতদেহ পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। বউবাজার এলাকার নির্মল চন্দ্র স্ট্রিটে ওই হোস্টেলটি অবস্থিত। মৃত যুবকের স্ত্রীর অভিযোগ গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে তার স্বামীর। মৃতদেহের শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতী চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তে রিপোর্ট হাতে এলে তবে বোঝা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ।