কলকাতা

রঙের দিনে ‘রঙিন’ নেতারা, রাজনীতি সরিয়ে শামিল রঙের উৎসবে

'Coloured' leaders on the day of colour

The Truth of Bengal: বছরের ৩৬৫ দিনই ব্যস্ত থাকতে হয়। রাজনীতির ময়দানে পড়ে থাকা নেতা-মন্ত্রীরা থাকেন মানুষের মাঝে। সেই মানুষের সঙ্গে বসন্ত উৎসবে শামিল হলেন জনপ্রতিনিধিরা। একদনের জন্য রাজনীতিকে সরিয়ে রেখে মেতে উঠলেন বসন্ত উৎসবে। নানা রঙের আবিরে রাঙিয়ে দিলেন একে অপরকে। সকাল থেকে বসন্ত উৎসবে শামিল হতে দেখা যায় নেতা-মন্ত্রীদের।

সারাটা বছর রাজনীতির ময়দানে কাটাতে হয় হয় তাঁদের। রাজনৈতিক নেতাদের ব্যক্তিগত জীবন বলে তেমন কিছু নেই। লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। এখন নেতাদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। প্রচার চলছে জোরকদমে। তারই মাঝে এল দোল। বাতাসে আবিরের ওড়াউড়ি। শত ব্যস্ততা সরিয়ে রঙিন সেই পরিবেশে নিজেদের শামিল করলেন রাজনৈতিক নেতারা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেতে উঠলেন দোল খেলায়। রঙের দিনে রাজনীতিকে একপাশে সরিয়ে রেখে মেতে উঠলেন নেতা-মন্ত্রীরা। সকাল থেকেই নিজের নিজের এলাকায় দোল উৎসবে অংশ নিতে দেখা তাঁদের। এই একটা দিন রাজনীতি একেবারেই নয়। নানারঙের আবিরে রাঙিয়ে দিলেন একে অপরকে।

প্রতিবছর বেশ জাঁকজমক করে বসন্ত উৎসব পালন করেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এবছর তার ব্যতিক্রম হল না। সকালে হিন্দুস্থান পার্কে মহিলাদের সঙ্গে দোল খেলায় মেতে ওঠেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। রঙের সমাহারে রঙিন উঠেছিল মন্ত্রীর দোল উৎসব। নাচ গান সবই ছিল। হিন্দুস্থান পার্কের এই বসন্ত উৎসবে উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো।

বিদায়ী সাংসদ তথা এবছরের দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে মেতে ওঠেন বসন্ত উৎসবে। ত্রিকোণ পার্কে আয়োজিত রঙের উৎসবে উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রচারের মাঝেই পড়েছে দোলের দিন। ফলে স্বভাবতই দোলের জন্য এদিন প্রচার ছিল না। তৃণমূল প্রার্থী এলাকার মানুষের সঙ্গে মেতে ওঠেন রঙের উৎসবে।

পুজো থেকে শুরু করে সামাজিক সব অনুষ্ঠানে অন্য আর পাঁচজন রাজনীতিকের থেকে নিজেকে একটু বেশি যুক্ত রাখেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। দোলেও তার অন্যথা হয় না। রাসবিহারী এলাকায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে রঙের উৎসবে মেতে ওঠেন মন্ত্রী। সকাল থেকেই নাচে গানে পালিত হয় দোল উৎসব। একে অপরকে রাঙিয়ে দেন নানা রঙের আবিরে।

সকাল থেকে নৈহাটি এলাকায় বসন্ত উৎসবে মেতে উঠলেন নৈহাটি বিধায়ক তথা ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। সেই সঙ্গে জনসংযোগ সারলেন তিনি। খোল করতাল বাজিয়ে প্রভাত ফেরি করে জনসংযোগ সারতে দেখা যায় মন্ত্রীকে।

নিজে মাখলেন অন্যদের মাখিয়ে দোলের রঙে রঙিন হলেন বিদায়ী সাংসদ তথা শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল থেকে দোলের রঙে রঙিন হয়ে একপ্রস্ত জনসংযোগ সেরে নেন কল্যাণ। প্রতিবারই তিনি শ্রীরামপুরে বসন্তে উৎসবে শামিল হন দলীয় কর্মীদের নিয়ে।

শ্রীরামপুর রাধাবল্লভ মন্দিরে পুজো দিয়ে পদযাত্রা করেন। বটতলায় জুটমিলের শ্রমিক মহল্লায় গিয়ে তিরুপতি পুজোয় যোগ দেন। সেখান থেকে চাতরা দোল মন্দিরে যান তিনি। পথে বহু মানুষের সঙ্গে রঙ খেলেন।

Related Articles