কলকাতা

‘যতই ডিজিটাল আসুক, বইকে আমরা ভুলতে পারি না’, বইমেলার উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী

'No matter how digital comes, we cannot forget books', said the Chief Minister at the inauguration of the book fair

Truth Of Bengal: মঙ্গলবার ৪৮তম আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যতই ডিজিটাল যুগ হোক,মলাটের বইয়ে যে মনের রসদ আছে তা অন্যকোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না,যাবে না, বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে এই বার্তা ছড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী । মঙ্গলবার তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাঠকদের বই কেনার জন্য,বই পড়ার আহ্বানও জানান। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,বই আমাদের প্রেরণা, বই আমাদের দিশা,  ভালোবেসে বই পড়ুন,ভালোবেসে লিখুন ,বটবৃক্ষ যেমন মহিরুহ,বইবৃক্ষ মহিরুহ।এবারের থিম কান্ট্রি জার্মানি।সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি স্পষ্ট করেন, আমি ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলাও দেখেছি। কিন্তু দেশের মধ্যে সেরার সেরা হল কলকাতা বইমেলা। আগামীদিনে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলাকে বিশ্বসেরা করার জন্য আহ্বানও জানান প্রশাসনিক প্রধান।মুখ্যমন্ত্রী সাংস্কৃতিক রাজধানীতে শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার পরম্পরার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি বলেন, এই বইমেলা আমাদের গর্ব। বইমেলা, আমাদের হৃদয়ের উৎসস্থল থেকে উৎসারিত এক সরণি। এই মেলাকে আমরা বলি বইবৃক্ষ। বৃক্ষ যেমন হাজার হাজার বছর ধরে দাঁড়িয়ে থাকে, নিঃশব্দে, কখনও পাতার শব্দ শুনি। অন্যদিকে বই কথা বলে, বই কিন্তু দেখতে পায়।’

একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পরিসংখ্যান দিয়ে তুলে ধরেন,গত বছর   ২৭লক্ষ মানুষ বইমেলায় এসেছিলেন, ৩০কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল।কলকাতা বইমেলার এবার রেকর্ড ভিড় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রশাসনিক প্রধান। এবারের থিম জার্মানি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত ডক্টর ফিলিপ আকারমান-সহ বিশিষ্ট সাহিত্যিকরা।সুভাষ চন্দ্র বসুর সঙ্গে জার্মানির গভীর সম্পর্ক ছিল।

এবারের বইমেলায় সর্বাধিক প্রকাশক এবং লিটল ম্যাগাজিনের সংখ্যা। প্রায় ১০০০ টি স্টল রয়েছে। সলিল চৌধুরী এবং ঋত্বিক ঘটকের নামে প্রধান গেট করা হয়েছে। ১৯৯৬ সাল থেকে কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ। এবছর তারা নেই। বইপাঠকদের কাছে এই বইমেলা আলাদা গুরুত্ব বহন করছে।বলা যায়,ডিজিটাল যুগে ই-বুকের রমরমা বাড়লেও মলাটের বইয়ের আভিজাত্যই আলাদা।তাই পাঠকরা সবকিছু ছেড়ে মলাটের বইকে আঁকড়ে ধরেন। মনের রসদ জোগাড় করতে মনপসন্দ বই কিনে নেন প্রকৃত পাঠকরা।  সেজন্য আয়োজকরা বইপাঠকদের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে আড্ডা-আলাপনের নানা  ব্যবস্থাও করেছে।বিশ্বের নানা দেশের প্রতিনিধি ও পাঠকদের কথা ভেবে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।

Related Articles