কলকাতা

কংগ্রেসের লালবাজার অভিযানে ধুন্ধুমার, মুখ্যমন্ত্রী-পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবি

Lalbazar campaign of Congress is in trouble

Truth Of Bengal : আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। আরজি কর কাণ্ডে গোটা দেশ জুড়ে চলছে ‘প্রতিবাদ’ কর্মসূচী। আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় চলছে তীব্র প্রতিবাদ। বাচ্চা থেকে বুড়ো প্রায় সব বয়সের মানুষই বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে। কখনও মিছিল করে আবার কখনও জমায়েত করে চলছে সাধারন মানুষের ক্ষোভ প্রকাশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ কংগ্রেসের তরফে লালবাজার অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। সেখানেই ওই মিছিল্কে কেন্দ্র করে শুরু হয় একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড। ঠিক কী ঘটেছিল?

আজ লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। সেই মিছিল রুখতে পাল্টা পুলিশের তরফে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মিছিল যাতে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজার না পৌঁছতে পারে সেজন্য কার্যত গোটা এলাকাকে দুর্গে পরিনত করেছিল। একের পর এক রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। তবে কংগ্রেস নেতৃত্বরাও ছাড়ার পাত্র নন। তাঁরা নিজের সর্বস্ব বল প্রয়োগ করে ব্যারিকেড ভেঙে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই পরিস্থিতিতে শুরু হয় তুমুল অশান্তি। এই অশান্তি ঠেকাতে কিছুটা বেগ পেতে হয় পুলিশকে। কিন্তু, তাঁরাও নিজের সবটুকু দিয়ে মিছিল আটকে সান্ত পরিস্থিতি বজায় রাখার চেষ্টা করেন।

ঘটনায় সন্তোষ পাঠক, প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আন্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য সহ একাধিক নেতাদের আটক করে পুলিশ। এরপরেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন অন্যান্য নেতারা। তাঁরা লালবাজারের সামনের গেট আটক করে বিক্ষোভ চালায়। তাঁদের দাবি ছিল, অবিলম্বে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ করা উচিত। কারন তাঁরা রাজ্যের মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। শুধু তাই নয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও পদত্যাগ করা উচিৎ। এই সবকিছু মিলিয়ে লালবাজারের সামনে শুরু হয় তুমুল অশান্তি।

 

Related Articles