ডেঙ্গি নিধনে নয়া পদক্ষেপ পুরসভা, কীটনাশক কিনতে পারবেন সাধারণ নাগরিকরাও
টেমিফস ৫০% ইসি অনেক কম সময় নেয়, পুরসভার তরফে ড্রোনের মাধ্যমে বেশ কিছু জায়গায় এই কীটনাশকই ছড়ানো হয়েছে

The Truth of Bengal: যে কোনও দোকানে, যে কেউ চাইলেই কীটনাশক কিনতে পারেন না। সরকারি দফতরে আগাম অনুমোদন নিয়েই নিয়ন্ত্রিত বাজার থেকে কেনা যায় কীটনাশক। এবার ডেঙ্গি মশার লার্ভা কিনতে পারবেন সাধারণ নাগরিকরাও। তবে আগাম অনুমতি নিতে হবে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, কোনও হাউসিং বা সোসাইটি চাইলেই কিনতে পারবেন মশার লার্ভা মারার ওষুধ। এডিস ইজিপ্টাইয়ের লার্ভা মারতে ন্যাশনাল ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের অনুমোদন প্রাপ্ত টেমিফস ৫০% ইসি ব্যবহার করার অধিকার ছিল একমাত্র রাজ্য সরকারি সংস্থার। এবার থেকেই সেই ওষুধ কেনা যাবে। তবে চিঠি লিখতে হবে কলকাতা পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ ডা. দেবাশিস বিশ্বাসের কাছে।
পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছে, বাজার চলতি ডেঙ্গি মশা নিধনে যে ওষুধ রয়েছে, তা কোনওটি তিন ঘণ্টা সময় নিচ্ছে, কোনওটি আবার একদিন। ফলে, সময় বেশি লাগছে। তার পরিবর্তে টেমিফস ৫০% ইসি অনেক কম সময় নেয়। পুরসভার তরফে ড্রোনের মাধ্যমে বেশ কিছু জায়গায় এই কীটনাশকই ছড়ানো হয়েছে। কলকাতা পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ ডা. দেবাশিস বিশ্বাস জানিয়েছেন, এডিস ইজিপ্টাইয়ের লার্ভার জন্য টেমিফস ৫০% ইসি আদতে কন্টাক্ট পয়জন। অর্থাৎ এর সংস্পর্শে এলেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মারা যায় এডিস ইজিপ্টাইয়ের লার্ভা।
ন্যাশনাল ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের অনুমোদিত এই কীটনাশক দোকানে কিনতে পাওয়া যায় না। ফলে সাধারণ মানুষ কিনতেও পারেন না। বহু জায়গা রয়েছে, যেখানে বৃষ্টির জল জমে ডেঙ্গি মশার আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে। সেইসব জায়গাগুলি সবসময় চোখে পড়ে না। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ড্রোনের মাধ্যমে এই কীটনাশক ছড়ানোর। কোনও প্রতিষ্ঠান কিংবা আবাসনের পক্ষ থেকে এই কীটনাশক কিনতে চাইলে। পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদের কাছে আবেদন করতে হবে। তিনি অনুমোদন দিলেই কেনা যাবে ওই কীটনাশক। ডা. দেবাশিস বিশ্বাস জানিয়েছেন, দশ লিটার জলে ১৫ এমএল টেমিফস মিশিয়ে তা স্প্রে করতে হয় এই কীটনাশক। তাতেই বেশ ভালো ফল মেলে।