
The Truth Of Bengal: পাতে একটা মচমচে করে ভাজা ইলিশ মাছের পিস থাকলে বাঙালীর সব দু:খ মুছে যায়। ইলিশের জাদু এখানেই। তবে যে জিনিস স্বাদে যত ভাল, আর জোগান যত সীমিত, তার দাম তত মহার্ঘ্য হবেই। ইলিশের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তাই। ইলিশের জোগানের সঙ্গে চাহিদার বড় ফারাক থাকায় মরসুমের বেশীরভাগ সময়ই তা মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে থাকে। এ বছরও তাই চলছে। কলকাতার বাজারে শোভা পাচ্ছে ইলিশ। তবে হাতছানি দিলেও মধ্যবিত্তর পকেটে এতটা দম নেই তাকে কেনার। তবে অবশেষে সুখবর। ইলিশ এবার রাজ্যে গত ৩-৪ বছরের তুলনায় অন্তত দ্বিগুণ বেশী ধরা পড়েছে। হিসেব বলছে, গত তিন-চার বছর ৪ থেকে ৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ ধরা পড়েছে, এই রাজ্যে। এ বছরই তা বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার মেট্রিক টন।
শোনা যাচ্ছে, গত ১৫ জুনের পরে থেকে ডায়মন্ড হারবারের কাছে ১১ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ পাওয়া গিয়েছে। সকলেই আশা করছেন, পুজোর আগে যোগান অনেকটা বেড়ে যাবে। দিঘাতেও ইলিশের যোগান কিন্তু তুলনামূলকভাবে অনেকটা বেড়েছে। এখন দিঘাতে ইলিশের যোগান প্রায় ২৫০ মেট্রিক টন। ইলিশের জোগান বাড়ায় খানিকটা আশ্বস্ত হয়েছেন মধ্যবিত্তরা।
তাহলে কি সস্তা হবে ইলিশ? বাজারের দাম সব সময় অঙ্ক মিলিয়ে হয় না। জোগান বাড়লে দাম কমে ঠিকই কিন্তু তার ওপরেও বেশ কিছু বিষয় কাজ করে। সেই বিষয়গুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিমঘরে মজুত। ইলিশের উৎপাদন বাড়লেও দাম কমার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। কারণ এর মধ্যে বেশিরভাগ ইলিশ হিমঘরে মজুত করে রাখেন ব্যবসায়ীরা।
তবে অনুমান, গণেশ পুজোর পর থেকে ইলিশের দাম কয়েক সপ্তাহের জন্য মধ্যবিত্তদের নাগালে আসবে। ততক্ষণ শুধুই জিভকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে অপেক্ষায় রাখা।