
The Truth of Bengal: ২২জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধনের দিনই কলকাতায় সংহতি যাত্রা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে সেই সম্প্রীতির বার্তা আরও একবার তুলে ধরলেন তিনি। তাতে বড় অক্ষরে লেখা‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। ট্যাবলোর ছবিতে ছিল দক্ষিণশ্বরের মন্দির, নাখোদা মসজিদ ও গির্জার ছবি। বহু ধর্মের প্রতীক দিয়ে সাজানো হয়েছিল ট্যাবলো। আঁকা ছিল একটি গাছের অবয়ব। যার নিচে লেখা ‘একতা বৃক্ষ’। রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ রেড রোডে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এরপর হেঁটে নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রেড রোড থেকে রাজ্যের নারীশক্তির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল বোস রেড রোডে পৌঁছলে মুখ্যমন্ত্রী ও স্পিকার তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। অনুষ্ঠানে ছিল আঁটোসাটো নিরাপত্তা। অনুষ্ঠানে পুলিশের নানা কসরত তুলে ধরা হয়। এই অনুষ্ঠানে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের কথা তুলে ধরতে পরেবেশিত হয় কোচবিহারের বৈরাতি নৃত্য।
রেডরোডের কুচকাওয়াজে শুধু সম্প্রীতির ট্যাবলো নয়, ছিল একাধিক সরকারি প্রকল্পের ট্যাবলো। পথশ্রী থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার-সমস্ত সরকারি প্রকল্পের ট্যাবলো ছিল কুচকাওয়াজে। এবারই প্রথম সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তারাও কুচকাওয়াজে হাঁটেন। লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর উপভোক্তারা সাধারণতন্ত্র দিবসে অংশ নেন। সবমিলিয়ে বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি থেকে লোকগানের পরম্পরা মেলে ধরা হয় রেডরোডের এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান থেকে।