লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনে ‘চায়ে পে চর্চা’য় মুখ্যমন্ত্রী, গাইলেন রবীন্দ্রসঙ্গীতও
CM performs 'Chai Pe Charcha' at Indian High Commission in London, sings Rabindra Sangeet

Truth of Bengal: লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরইস্বামী ও ডেপুটি হাই কমিশনার সুজিত ঘোষ-সহ অন্যান্যদের সঙ্গে এক মনোজ্ঞ ‘চায়ে পে চর্চা’-য় অংশ নেন তিনি।
#WATCH | London, UK | West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee attended the Hi-Tea Reception at the Indian High Commission in London. High Commissioner of India to the UK, Vikram Doraiswami was also present. pic.twitter.com/raYa4fKznN
— ANI (@ANI) March 24, 2025
এই আলোচনাসভা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক ছিল না, বরং তা পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক আড্ডায়। রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুরে মুখরিত হয়ে ওঠে পরিবেশ। গলা মেলান খোদ মুখ্যমন্ত্রীও। সকলের সঙ্গে মিলিয়ে তিনি গেয়ে ওঠেন, “মোরে আরও আরও দাও প্রাণ”, যা মুহূর্তেই অনুষ্ঠানের আবহকে আরও আবেগঘন করে তোলে।
লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে রবীন্দ্রসংগীত গাইলেন মুখ্যমন্ত্রী @MamataOfficial #MamataBanerjee #CM #London#IndiaWantsMamataDi pic.twitter.com/6c7eMJe1bv
— India Wants Mamata Di (@IndiaWantsMB) March 25, 2025
সৌজন্য সাক্ষাতের এক বিশেষ মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় হাই কমিশনারকে উপহার দেন নিজের হাতে আঁকা একটি ছবি। পাশাপাশি, নিজের লেখা কবিতার বই ‘কবিতা বিতান’ তুলে দেন তাঁর হাতে। হাই কমিশন থেকে বের হওয়ার আগে রীতি মেনে নিজের অভিজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা বার্তা একটি বিশেষ নোটে লিখে আসেন তিনি।
এই আলোচনাচক্রে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেন সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা। ভারত ও ব্রিটেনের সম্পর্কের গভীরতা বোঝাতে গিয়ে তিনি স্মরণ করেন বাংলার ইতিহাসে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের অবদান। বিশেষভাবে উল্লেখ করেন সিস্টার নিবেদিতা ও মাদার টেরেসার নাম, যাঁরা মানবসেবার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জোর দেন— কলকাতা থেকে লন্ডনের সরাসরি বিমান পরিষেবা চালুর দাবি। তিনি বলেন, এর ফলে শুধু দুই শহরের নয়, দুই দেশের সম্পর্কও আরও দৃঢ় হবে।
এই সফর শুধু কূটনৈতিক সাক্ষাতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং তা ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের উষ্ণতা ও বাংলার সংস্কৃতির এক অনন্য মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।