কলকাতা

বৌবাজার গণপিটুনি কান্ড: হোস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার একাধিক ব্যাট, উইকেট ও লাঠি

Boubazar lynching incident: Several bats, wickets and sticks recovered from the hostel room

The Truth Of Bengal :   মোবাইল চোর সন্দেহে মধ্য কলকাতার বৌবাজার এলাকায় একটি সরকারি হোস্টেলে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার ১৪ জন। তাদের বিরুদ্ধে আইপিসি ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৩৬৫ (অপহরণ) এবং ৩০২ (খুন) এর অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা সকলেই শহরের বিভিন্ন কলেজের বর্তমান এবং প্রাক্তন ছাত্র।

পুলিশ জানিয়েছে নিহত ওই যুবকের নাম ইরশাদ আলম (৩৭)। তিনি বেলগাছিয়ার বাসিন্দা। মৃত ওই যুবক চাদঁনীচকের একটি ইলেক্ট্রনিক্স দোকানে কাজ করতেন। এর আগে ইরশাদ টিভি মেরামত করতে ওই হোস্টেলে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এবং গত কয়েকদিন ধরে ওই হোস্টেলে কিছু মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়ার পর শুক্রবার সকালে ইরশাদকে ওই হোস্টেলে ডাকা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানিয়েছে ওই হোস্টেলে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা আছে, সেই ফুটেজ দেখতে গিয়ে তদন্তকারী অফিসাররা দেখেন মুছে ফেলা হয়েছে ওই সিসিটিভির ফুটেজ। ওই হোস্টেলে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ব্যাট, উইকেট এবং লাঠি। উদ্ধার হওয়া এই ব্যাট, লাঠিগুলো দিয়েই নিহত যুবককে মারধর করা হয়েছিল কিনা তা জানতে সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠিয়েছে পুলিশ। আরও অভিযোগ, ওই যুবককে মারধর করা হচ্ছে বলে খবর পেয়ে গতকাল যখন পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখন তাদের হোস্টেলের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষন পরেই মারা যায় ওই যুবক।

মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, হোস্টেলের ভিতর নিয়ে গিয়ে ইরশাদকে উইকেট, ব্যাট দিয়ে মারধর করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা সম্ভব হবে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।  এই গণপিটুনির ঘটনা মনে করিয়ে দেয় এক দশক আগের এনআরএস হাসপাতালের হস্টেলের কোরপান শাহ নামে এক যুবকের গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা।

Related Articles