রাতভর থানায় ধর্নায় বসে বিজেপি নেত্রী, ক্ষোভ উগরে দিলেন রূপা
BJP leader sat on dharna at the police station overnight, Rupa expressed anger

Truth Of Bengal: রাতের অন্ধকারকে সরিয়ে দিয়ে প্রবেশ করেছে দিনের আলো। কিন্তু সমাজের অন্ধকার গহব্বরে কী সেই আলো প্রবেশ করতে পেরেছে? বুধবার বাঁশদ্রোণীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতীবাদের পাশাপাশি শোকের ছায়াও নেমে এসেছে। আর সেই ঘটনার বিচার চেয়ে সকালেও বাঁশদ্রোণী থানায় ধর্নায় বসে থাকতে গেল বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে। এদিনও তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বলেন, “পুলিশ অভিযুক্তদের পালাতে সাহায্য করেছে।” ঘটনার দিন রূপা বলেছিলেন, পুলিশ যতক্ষণ পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করছে না ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি থানায় বসে থাকবেন।
উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তা সাইয়ের কাজ চলছিল। সেই কাজের জন্য একটি জেসিবি ওই রাস্তায় এসেছিল। বুধবার সকালে নবম শ্রেণির এক ছাত্র কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিল। এরপর মাটি কাটার সময় ওই জেসিবিটি হঠাৎ ওই ছাত্রকে ধাক্কা মারে। তখনই ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে ছাত্র। এরপর গাড়িতে পিষ্ট হয়ে যায় সে। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ওই পড়ুয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর থেকেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।
তবে অভিযোগ উঠেছে এই ঘটনায় রাজনীতির রংও লাগানো হয়েছে। পুলিশকে হেনস্থা করার জেরে গ্রেফতার হয়েছে বিজেপি নেত্রী রুবি মণ্ডল-সহ পাঁচ জন। এই আবহের মধ্যেই ঘটনার দিন রাতে রূপা গাঙ্গুলির নেতৃত্বে বাঁশদ্রোণী থানায় হাজির হয় বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। তার পর থানার বাইরে বিক্ষোভ শুরু করে কর্মীরা আর রূপা যান থানার ভিতর। তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এখনো কোন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় নি তার পরিবর্তে কোনও রকম অভিযোগ ছাড়াই বিজেপি নেত্রী রুবিকে আটক করা হয়েছে। বুধবার অভিযুক্তদের পাকড়াও করা নিয়ে রূপা গাঙ্গুলি বলেছিলেন, “আমি রাতটা থানাতেই থাকব। সকাল থেকে ওঁরা ধরতে পারেননি অভিযুক্তদের। তবে আমি আশা করছি ওঁরা ধরে ফেলবেন।”