আসফাকুল্লা-অনিকেত-দেবাশিসদের সামনে বড় বিপদ! দিতে হতে পারে বড় জরিমানা
Big danger ahead for Asfaqulla-Aniket-Debashis! May have to pay a big fine

Truth Of Bengal: মহাবিপদের মুখে পড়তে পারেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের (ডব্লিউবিজেডিএফ) তিন প্রধান আসফাকুল্লা-অনিকেত-দেবাশিস! কি হতে চলেছে তাঁদের সঙ্গে? সরকারের নির্দেশ অমান্য করলে মোটা টাকার জরিমানা দিতে হবে তিনজনকে। তিনজনেরই পছন্দ শহরাঞ্চলে মানুষকে সেবা করা। কিন্তু ভিন্ন জেলায় তাঁদের পোস্টিং দেওয়ায় তাঁরা বিরোধিতা করেছেন। স্বাস্থ্যভবনে গিয়েও কোন লাভ হয়নি। তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং জানানো হয়েছে যে তাদের লোকের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরজি কর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। অবস্থান বিক্ষোভ থেকে শুরু করে মিছিল, ঘেরাও, পথসভা, কোনকিছুই বাদ দেয়নি তারা। অনশনেও বসা হয়েছিল, যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। একটা সময়ে তাদের লাগাতার কর্মসূচি বেশ চাপে ফেলেছিল সরকারকে। এই লড়াইয়ে তারা পাশে পেয়েছিল সাধারণ মানুষ ও বিরোধী দলগুলিকে।
আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদার, আশফাকুল্লাহ নাইয়া ও কিঞ্জল নন্দ। মাঝেমধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধে উঠতো অভিযোগ। জুনিয়র ডাক্তাররা দাবি করতেন যে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে শাসকদল। যদিও তা অস্বীকার করতো রাজ্য সরকার। তবে এবার তিন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারকে শহরাঞ্চলের হাসপাতালের পরিবর্তে অন্য জেলার হাসপাতালে পোস্টিং দেওয়া হয় স্বাস্থ্যভবনের তরফ থেকে। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় জেডিএফ এবং সাধারণ মানুষকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানায়।
তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে তাঁরা যদি এই নির্দেশ অমান্য করেন এবং সময় মতো কাজে যোগ না দেন, তাহলে তাঁদের মোটা অংকের জরিমানা দিতে হতে পারে। জানা গিয়েছে, তিন বছরের বন্ড থাকে স্নাতকোত্তরের পর সিনিয়র রেসিডেন্টে এবং সেটা যদি মানা না হয় বা তার আগে কেউ যদি বেরিয়ে আসে বন্ড থেকে, তাহলে সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হয়। সুতরাং এক্ষেত্রে তিনজনকেই ব্যাপক ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে। নেটিজেনরাও তিনজনের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। শাসকদলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, “আপনারা তো শপথ নিয়েছিলেন মানুষের পাশে থাকার। তাহলে কলকাতা ছেড়ে অন্য কোথাও পরিষেবা দিতে ক্ষতি কি?” এবার দেখার বিষয় যে তিনজনে কি পদক্ষেপ নেন। তাঁরা কি ফের আদালতের দ্বারস্থ হবেন? তা বলবে সময়।