কলকাতা

রেমাল পর্বের পর ফের স্বস্তির বারিধারা! ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি পাবে কোন কোন জেলা? জানুন

Baridhara of relief again after Remal episode! Which districts will be freed from heat? get to know

The Truth Of Bengal :  ঘূর্ণিঝড় রেমাল তার তাণ্ডব চললেও তার পরবর্তী কয়েকদিনের মাথায় দেখা যায় একেবারে অন্য ছবি। ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল হয়ে উঠেছিল দক্ষিণবঙ্গবাসী। তাপমাত্রার পারদ ছিল একেবারে ঊর্ধ্বমুখি। কখনও ৩৫ ডিগ্রি তো কখনও তার আশেপাশে। আদ্রতার পরিমাণও ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় বেশ অনেকটাই বেশি। বলতে গেলে একপ্রকার অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। আগেই আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছিল আপাতত দক্ষিণে বৃষ্টির কোনোরকম কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে উত্তরের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার এই পাঁচ জেলার কিছু অংশে আগামী কয়েক দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছিল হাওয়া অফিস।

তবে শুক্রবার আইএমডি’র তরফ থেকে জানানো হয়, আগামী ২ থেকে ৩ ঘন্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুত সহ বৃষ্টিপাত হবে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায়। সঙ্গে বইতে পারে ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া। সেই কথা মতোই হঠাৎ নেমে আসে স্বস্তির বৃষ্টি। এদিন ডানলপ সহ বরাহনগর, দমদম পার্ক, শ্যামবাজার, বেহালা, বাগুইআটি, এন্টালি, বিধাননগর, কালিকাপুর, সল্টলেক, নিউ টাউন, যাদবপুর, গড়িয়া, পাটুলি, গল্ফগ্রিন, ঢাকুরিয়া, সেলিমপুর এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া-সহ বৃষ্টি শুরু শুরু হয়েছে। হুগলির বৈদ্যবাটি এলাকায় প্রবল বজ্রপাতের কারণে নেট পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে চন্দননগরেও। উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকাতেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

যার কারণে ইতিমধ্যেই কলকাতার বেশ কিছু এলাকায় জমেছে জল। বিশেষত কলকাতা উত্তরের কলেজস্ট্রীট এলাকায় ৩ থেকে ৪ ঘন্টার টানা এই বৃষ্টির কারণে জল জমেছে হাঁটু সমান। সঙ্গে সল্টলেকের বেশ কিছু এলাকাতেও জল জমেছে বলেই সূত্রের খবর। এবং জানা গেছে রবিবারও রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় এরকম বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পাড়ে। তাছাড়াও হাওয়া অফিস এদিন জানায় উত্তরের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার এই পাঁচ জেলার কিছু অংশে আগামী কয়েক দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে আপাতত বঙ্গে বর্ষার আগমনের কোনও বার্তা এসে পৌঁছয়নি এখনও। তবে মনে করা হচ্ছে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহেই রাজ্যে প্রবেশ করবে বর্ষা। তবে শনিবারের হঠাৎ এই বৃষ্টিতে  আপাতত কিছুটা রেহাই পেল কলকাতা সহ জেলার নাগরিকগণ।

Related Articles