আন্তর্জাতিক
Trending

মালদ্বীপের সংসদে মল্লযুদ্ধ, থাপ্পড়, কিল-চড়-লাথি-ঘুষি বাদ যায়নি কিছুই

Wrestling, slapping, slapping, kicking and punching were not left out in the Maldivian parliament.

The Truth Of Bengal: ভারতকে চোখ রাঙানোই কাল হল। মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুকে সরাতে এখন দল বাঁধছে বিরোধীরা। মুইজ্জু সরকারকে প্রেসিডেন্টের গদি থেকে সরানোর ডাক উঠেছে। এর মধ্যেই মলদ্বীপের সংসদে ঘটে গেছে নজিরবিহীন ঘটনা। মুইজ্জুর বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে রীতিমতো মল্লযুদ্ধ বেঁধেছে সংসদে। থাপ্পড়, কিল-চড়-লাথি-ঘুষি কিছুই বাদ যায়নি।

লাথি, ঘুষি, চড়-থাপ্পড়, চুল ধরে টানা, বাঁশি বাজিয়ে অধ্যক্ষের কন্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়া সংসদীয় কার্যধারা ব্যাহত করার লক্ষ্যে কিছুই বাদ রাখলেন না প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর ক্ষমতাসীন জোটের সাংসদরা। দেখে মনে হতে পারে, মলদ্বীপ সংসদে বোধহয় মল্লযুদ্ধ হচ্ছে। এদিন, মলদ্বীপ সংসদে এক গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম চলাকালীন এই দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। দেশের সংসদে ভয়ঙ্কর মারামারিতে জড়ালেন মলদ্বীপের সাংসদরা। গত বেশ কয়েকদিন ধরেই ভারত বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে, ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে তীব্র দ্বন্দ্ব চলছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহের। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মুইজ্জু জয় পেলেও, মলদ্বীপ সংসদে এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সোলিহর দল এমডিপি-র। মলদ্বীপের ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বা এমডিপিরা ভারতপন্থী হিসেবেই পরিচিত।

অন্যদিকে, মুইজ্জু সরকারের ক্ষমতাসীন জোট প্রগ্রেসিভ পার্টি অব মলদ্বীপ বা পিপিএম বরাবরই চিন ঘেঁষা। এই দুই জোটের মধ্যে সম্পর্কও আদায় কাঁচকলায়। এদিন, মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার ২২টি নামের মধ্যে, ১৮ জনকে অনুমোদন দেয় সংসদ। আপত্তি ওঠে চারজনের নাম নিয়ে। এরপরই সংসদ অচল করে দেয় ক্ষমতাসীন পিপিএম-পিএনসি জোটের সংসদরা এবং এমডিপি সাংসদদের সঙ্গে প্রচণ্ড সংঘর্ষে জড়ান তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংঘর্ষের বেশ কিছু ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে।

একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এমডিপি সাংসদ ঈসা এবং পিএনসি সাংসদ আবদুল্লা শাহীম আবদুল হাকিমের মধ্যে তীব্র মারামারি হচ্ছে। ফুটেজে দেখা যায়, ইসার পা ধরে টেনে ফেলে দিচ্ছেন শাহীম। ইসা পড়ে যান। এরপর, তিনি শাহীমের ঘাড়ে লাথি মেরে তাঁর চুল টেনে ধরেন। এই ঘটনার ফলে শাহীম গুরুতর আহত হন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, অধ্যক্ষের কাজে বাধা দেওয়ার জন্য মুইজ্জুর দলের সাংসদরা, তাঁর আসনের পাশে দাঁড়িয়ে ভেপু বাজাচ্ছেন। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, সংসদে কথা বলার জন্য যে মাইক রাখা থাকে, সেই মাইক তুলে মারামারির শুরু হয়ে যায়। এরপর, মলদ্বীপ সংসদ ভবন থেকে সমস্ত মাইক সরিয়ে নেওয়া হয়।

Related Articles