প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে নাম প্রত্যাহার বাইডেনের, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসাবে এগিয়ে কমলা হ্যারিস
With Biden withdrawing from the presidential race, Kamala Harris is advancing as the Democratic candidate

The Truth Of Bengal : আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই থেকে সরে গিয়ে নিজের পরিবর্তে ডেমোক্র্যাট শিবির থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের নাম প্রস্তাব করেছেন একাশির বছরের জো বাইডেন। তবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ের লিস্টে নাম রয়েছে আরও কিছু জনের। বাইডেনের যায়গায় কাকে বসানো হবে, আমেরিকায় তা এখন চর্চার বিষয়।
My fellow Democrats, I have decided not to accept the nomination and to focus all my energies on my duties as President for the remainder of my term. My very first decision as the party nominee in 2020 was to pick Kamala Harris as my Vice President. And it’s been the best… pic.twitter.com/x8DnvuImJV
— Joe Biden (@JoeBiden) July 21, 2024
কূটনীতিবিদদের মধ্যে অনেকের ধারনা, প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইয়ে সব থেকে এগিয়ে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা। কমলাকে সবার থেকে এগিয়ে রাখতে একাধিক কারণ রয়েছে, যেমন- কমলার নাম বাইডেন নিজে প্রস্তাব করেছেন। আর কমলার কূটনৈতিক-প্রশাসনিক ও আইনি অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেক। ক্যালিফর্নিয়ার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও প্রথম মহিলা অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন তিনি। এমনকি আমেরিকার প্রথম সেনেটর, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্টও ছিলেন কমলা। তিনি একজন ভালো আইনজীবী হিসেবেও পরিচিতি। তবে প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে অনেকে কমলার সমালোচকও। সমালোচকদের মতে, আইনজীবী থাকাকালীন কমলা হ্যারিস ছোট অপরাধীদেরও কড়া সাজা নিশ্চিত করতেন। এটা প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাট সমালোচকদের অপছন্দ।
জো বাইডেন বলেন, প্রেসিডেন্ট পদের জন্য কমলাকেই বেছে নিতে হবে এমন কোনও নিয়ম নেই। এটা শোনার পর থেকেই কমলার বিপক্ষে নাম উঠে আসছে ক্যালিফোর্নিয়ার ছাপ্পান্ন বছরের গভর্নর গ্যাভিন নিউসমের নাম। ওনার ফ্রান্সিসকোর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব সামলানোর। একদল মানুষ বাইডেন প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর গুঞ্জনের সময় তাঁর পরিবর্তে হোয়াইট হাউসের লড়াইয়ে ফ্রান্সিসকোর মেয়কে এগিয়ে দিতে চেয়েছিল। তবে শুরু থেকেই বাইডেনকে সমর্থন করে এসেছেন নিউসম। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর বলেছিলেন, বাইডেন যত দিন না সরে দাঁড়াচ্ছেন তত দিন পর্যন্ত তাঁর পরিবর্তে কারোর নাম নিয়েই চর্চা করা উচিত নয়। তবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার ইচ্ছে যে তাঁর নেই এটা ভাবা ভুল। সম্প্রতি তিনি একাধিক দেশে সফর করেছেন, তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনে কী কী সাফাল্য অর্জন করেছেন, তা নিয়ে বিস্তর বিজ্ঞাপন করেছেন। গুঞ্জন চলছিল, ২০২৮-এ হয়তো তাঁকে প্রেসিডেন্ট করা হবে কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এখনই প্রেসিডেন্টের লড়াইয়ে তাঁকে দেখা যেতে পারে।
মিশিগানের বাহান্ন বছরের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমারকে নামও চর্চায় উঠে এসেছে। অনেকের দাবি, নির্বাচনে তিনি দলকে ভাল সাফল্য দেবেন। মিশিগান সাধারণত শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা। ওখানে বসবাস করেন কৃষ্ণাঙ্গ ও আরব-আমেরিকানের মানুষ। আগের নির্বাচনে এই দুই শ্রেণির ভোটারেরাই বাইডেনকে চিন্তিত করে দিয়েছিলেন। সেখানে গ্রেচেন মিশিগানে যেভাবে নিজের অধিপত্য রেখেছিলেন তাতে তাঁর নামও উঠে আসছে।
এছাড়াও চর্চায় নাম উঠেছে পেনসেনভানিয়ার গভর্নর জোশ স্যাপিরোও, ম্যারিল্যান্ডের গভর্নর ওয়েস মুর, আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা, কেন্টকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশার।