আন্তর্জাতিক

ভাগ্যের কী পরিহাস! বিয়ের পরের দিনই জীবনযুদ্ধে পরাজয়!

What irony of fate! Defeat in the battle of life the day after the wedding!

The Truth Of Bengal : আচ্ছা, বেসরকারি চাকরি বলতে প্রথমে মাথায় কি আসে? হ্যাঁ অনেকেই হয়তো বলবেন যে কোন মুহূর্তে চাকরি চলে যেতে পারে। কিন্তু, জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে এটা কি সত্যিই মেনে নেওয়া সম্ভব? না সম্ভব নয়। এত বড় ধাক্কা সহ্য করা মোটেই কম নয়। আর এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছে সাইপ্রাসের এক নারীর। ঘটনায় ব্যাপক হতাশা ছড়িয়েছে তার পরিবারসহ গোটা এলাকায়।

জানা যায়, যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী এক মহিলা একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকুরীজীবী ছিলেন। তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। তার যেদিন বিয়ে সেদিন তাদের বস এবং অন্য সহকর্মীরা জানতেন যে তার বিয়ে। কোম্পানির বস তার পাঠানো একটি বার্তায় প্রথমে লেখেন, ” আশা করছি, আপনার বিয়ের দিনটি ভালোই কেটেছে এবং এখনো আপনি একটি সুন্দর সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। আমি শুধু আপনাকে জানাতে চেয়েছিলাম যে দুর্ভাগ্যবশত আপনাকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপনার ব্যক্তিগত ই-মেইলে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। সত্যিই আমি অত্যন্ত দুঃখিত।” আর এই চিঠিটি মেয়েটির কাছে এসে পৌঁছেছে তার বিয়ের ঠিক পরের দিন।

খবর পেয়ে ওই মহিলা জানান, ” এত আনন্দ অনুষ্ঠানের মধ্যে আমার ফোনটি আমার কাছে ছিল না। পরে যখন একটু বিশ্রামের সুযোগ পেলাম ভাবলাম অনেকেই হয়তো আমাকে বিয়ের শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছে। এই ভেবে ফোনটি হাতে নিয়ে প্রথমবারে যা দেখলাম তাতে চক্ষু চড়কগাছ আমার। আমি দেখতে পাই আবার কোম্পানির সমস্ত whatsapp গ্রুপ থেকে আমাকে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে এছাড়াও আমার নাম মুছে ফেলা হয়েছে। এরপর কি করব বুঝতে না পেরে নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছিল। তারপর নজরে আসে বসের দেওয়া সেই ইমেইল। আমাকে আমার পথ থেকে সরানোর কারণ হিসেবে লেখা ছিল, আমি যে পদে ছিলাম সেই পদের জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা আমি দেখাতে পারিনি।”

ওই মহিলা পরবর্তীকালে জানান, ” আমার সহকর্মীদের আচরণে আমি সত্যিই ক্ষুব্ধ। আমার অনুপস্থিতিতে আমার বিষয়ে এমনটা করাকে আমি কাপুরুষতার আচরণ বলে মনে করি। যদি আমার কাজ নিয়ে কারোর কোন সমস্যা থাকতো তাহলে আমাকে সেটা অন্তত একবার জানাতে পারতেন।”

Related Articles