ধ্বংসযজ্ঞ বর্ণনার ভাষা নেই,জনগণের কাছে ন্যায়বিচার চাইছি বললেন হাসিনা
There are no words to describe the devastation, Hasina said, I want justice from the people

The Truth of Bengal: বেশ কিছুদিন ধরেই কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে রাজধানীতে মেট্রোরেল স্টেশনসহ সারা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ দিন তিনি গুঁড়িয়ে দেওয়া মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন পরিদর্শন করে বলেন, ‘দেশের জনগণকে তাদের বিচার করতে হবে। আমি জনগণের কাছে ন্যায়বিচার চাইছি। ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দেওয়ার মতো আমার আর কোনো ভাষা নেই।’ মেট্রোরেল স্টেশনে ভাঙচুরের ঘটনা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে যে ধ্বংসের চিত্র দেখলাম, এটা বিশ্বাস করা যায় না, এই দেশের মানুষ এটা করতে পারে। কিন্তু সেই কাজই করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেট্রোরেল নির্মাণকাজের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের আজকে চোখে পানি পড়ছে, এটা (ক্ষয়ক্ষতি) দেখে যে, কীভাবে একটা দানবিক কর্মকাণ্ড এদেশে হলো? কেন করল?’ মিরপুর-১০ ছিল বাংলাদেশের নবনির্মিত মেট্রো রেলের ব্যস্ততম স্টেশন। প্রায় সব ক’টি স্টেশন ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কয়েকটি জায়গায় আগুন দেওয়ার পরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য মেট্রো চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।যদিও মেট্রো রেল কর্তার তরফে পুনরায় ট্রেন চালুর ব্যাপারে কোনরকম নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি।
আর মেট্রো চালু হলেও বন্ধ স্টেশনগুলি ফের চালু করতে বছর গড়িয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন হাসপাতাল ও মর্গের তথ্য মিলিয়ে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, বিক্ষোভ ও নাশকতার দিনগুলিতে গুলি ও ইটের আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৩ ও আহতের সংখ্যা ৭ হাজার।বিক্ষোভে উস্কানি এবং নাশকতার চক্রান্তে অংশ নেওয়ার জন্য জামাতে ইসলামি, বিএনপি এবং অন্য বিরোধী দলগুলির অন্তত আড়াই হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে, বাংলাদেশে ছাত্রবিক্ষোভ দমনে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে এবং বিক্ষোভের ফলে সেখানে কী পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল, সরকারকে তা সবিস্তার জানাতে বলেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ফলকার টুর্ক।