কানাডায় তরুণী মৃত্যু সন্দেহজনক নয়! চাঞ্চ্যলকর তথ্য পুলিশের
The death of the young woman in Canada is not suspicious! Sensational information of the police

Truth Of Bengal : ঘটনার একমাস। কানাডার হ্যালিফ্যাক্সে তরুণী মৃত্যুর ঘটনায় সন্দেহজনক কিছুই মেলেনি, ঘোষণা করেছে পুলিশ। যদিও এখনও তদন্ত প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। অন্যান্য বিভাগের আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছে বিষয়টি।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ১৯ অক্টোবর অর্থাৎ আজ থেকে একমাস আগে ঘটেছিল মর্মান্তিক ঘটনা। এক ১৯ বছর বয়সী শিখ তরুণীর দেহ উদ্ধার হয় একটি বেকারি স্টোরের ওয়াক-ইন ওভেনের মধ্যে থেকে। তরুণীর মা সর্বপ্রথম লক্ষ্য করে করেন ওই তরুণীর দেহ। একাধিক সূত্রের খবর, ওই বেকারিতে তরুণীর মা কাজ করতেন বলে খবর। তরুণীর,মৃত্যু ঘিরে রহস্যের দানা বাঁধে। একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে একমাস তদন্ত করার পর এবং সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে হ্যালিফ্যাক্সের পুলিশ জানিয়ে দেয়, এই মৃত্যুতে সন্দেহজনক তেমন কিছুই নজরে পড়েনি। তাহলে কিভাবে মৃত্যু হল ওই তরুণীর, প্রশ্ন তুলেছে প্রত্যেকে। যদিও তদন্ত জারি রয়েছে।
ওয়ালমার্ট স্টোরে কর্মরত গুরসিমরান কৌর নামের ওই মহিলাকে ১৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেকারি বিভাগের ওভেনে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ এখনও তার নাম প্রকাশ করেনি। তবে কানাডার একটি শিখ সংগঠন ভিকটিমকে শনাক্ত করেছে।
হ্যালিফ্যাক্স পুলিশ অফিসার মার্টিন ক্রোমওয়েল বলেন, “আমরা বুঝতে পারি যে ঘটনাটি সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। তদন্তের অংশ হিসাবে, আমরা বেশ কয়েকজনকে জেরা করেছি, ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করেছি। তবে আমরা বিশ্বাস করি না যে মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত ছিল। শ্রম বিভাগ এবং মেডিকেল পরীক্ষক পরিষেবা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।”
ওই তরুণী মৃত্যুর কিছুদিন আগে ভারত থেকে কানাডায় চলে আসেন। জানা যায়, তার মৃত্যুর সময় তার বাবা এবং ভাই উভয়েই ভারতে ছিলেন। তার মৃতদেহ উদ্ধারের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে।
ওয়াক-ইন ওভেন, ব্যাচ ওভেন বা ট্রাক-ইন ওভেন নামেও পরিচিত, বিভিন্ন উত্পাদন প্রক্রিয়ার জন্য ডিজাইন করা বড় আকারের শিল্প ওভেন। এগুলিকে ‘ওয়াক-ইন’ বলা হয় কারণ এগুলি মানুষের প্রবেশ এবং লোড বা আনলোড করার জন্য যথেষ্ট বড়।