চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধে’র অভিযোগ
Russia accused of 'war crimes' over Chernobyl nuclear power plant attack

Truth of Bengal: ১৯৮৬ সালের ভয়াবহ চেরনোবিল দুর্ঘটনা আজও বিশ্বের মনে গেঁথে আছে। সেই স্মৃতি জাগিয়ে তুলে আবারও সেখানে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া, এমনটাই দাবি ইউক্রেনের। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে একটি ড্রোন হামলায় চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সুরক্ষা কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যদিও এখনও পর্যন্ত তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।
ইউক্রেনের সিকিউরিটি সার্ভিস এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে আখ্যা দিয়ে তদন্ত শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে রাশিয়া প্রাথমিকভাবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। কিন্তু ইউক্রেনের দাবি, ঘটনাস্থলে যে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে, তা রাশিয়া নিয়মিত ব্যবহার করে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
Hours after Trump insisted that Putin “wants peace,” a Russian drone struck the containment shell protecting the radioactive reactor at the Chernobyl nuclear power plant, causing significant damage.
Trump’s weakness is only emboldening Putin to continue the war against Ukraine. pic.twitter.com/q3aFdC0vNo
— Republicans against Trump (@RpsAgainstTrump) February 14, 2025
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, সুরক্ষা কাঠামো সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো তেজস্ক্রিয় বিপদ দেখা দেয়নি।
এদিকে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেন চেরনোবিল হামলার বিষয়টি আমেরিকার সামনে তুলবে। ভ্যান্স ইতিমধ্যেই রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি পুতিন শান্তি চুক্তির পথে না আসেন, তাহলে আমেরিকা অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত ইউক্রেনের চেরনোবিলে পারমাণবিক বিস্ফোরণের ফলে প্রচুর মানুষ তেজস্ক্রিয়তার শিকার হন। সেই দুর্যোগে শহরটি জনশূন্য হয়ে গিয়েছিল। আজও সেই ভয়াবহ ঘটনার স্মৃতি মানুষের মনে জেগে আছে, আর এবার নতুন করে সেই আতঙ্কের ছায়া নেমে এল চেরনোবিলে।