আন্তর্জাতিক

রাজপরিবারের কেচ্ছা, এমনই দাবি “এন্ড গেমে”    

Prince Harry

The Truth of Bengal: প্রিন্স হ্যারি ও মেগানকে ফ্রগমোর কটেজ থেকে উচ্ছেদ করার জন্য তৃতীয় চার্লসকে বুঝিয়েছিলেন প্রিন্সেস অ্যান। ব্রিটিশ রাজপরিবার নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি বইতে এমনই দাবি করা হয়েছে। বইটির নাম ‘এন্ড গেম: ইনসাইড দ্য রয়্যাল ফ্যামিলি অ্যান্ড দ্য মনার্কিস ফাইট ফর সারভাইভাল। বইটির লেখক ওমিড স্কোবি। লেখক নানা জনের সঙ্গে কথা বলে, নিজের মতো করে অনুসন্ধান চালিয়ে নানা তথ্য জড়ো করে তার ভিত্তিতে বইটি লিখেছেন। রাজপরিবারের বিভিন্ন সদস্যের মধ্যে সম্পর্ক, পারস্পরিক তিক্ততা, কিংবা শত্রুতার নানা দিকগুলো তুলে ধরেছেন লেখক। স্কোবি নিজের বইতে স্পষ্টভাবেই লিখেছেন, প্রিন্স চার্লসকে প্রিন্সেস অ্যান বুঝিয়েছিলেন যে হ্যারি এবং মেগানকে যেন ফ্রগমোর কটেজ থেকে উচ্ছেদ করা হয়। এই কটেজটি যে বিবাহের সূত্রে হ্যারি স্বয়ং রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে রাজ পরিবারের বিশেষ উপহার হিসাবে পেয়েছিলেন তাও জানিয়েছেন লেখক।

প্রসঙ্গত, হ্যারি এবং মেগান ২০১৮ সালে বিয়ের পর ফ্রগমোর কটেজে থাকতেন। ২০২০ সালে তাঁদের রাজপরিবার সংক্রান্ত দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর তাঁরা ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে গেলেও ফ্রগমোর কটেজ তাঁদেরই ছিল। বলে রাখা ভালো, রাজপরিবারের উইন্ডসর এস্টেটের প্রাসাদ থেকে কার্যত উচ্ছেদ করা হয় প্রিন্স হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেলকে। এই ঘটনার জেরে ব্রিটেনে আর কোনও বাড়িই হাতে থাকেনি এই রাজপরিবারের সদস্যের। ব্রিটিশ মিডিয়া একসময় স্পষ্টভাবেই জানিয়েছিল, হ্যারির এই ছেড়ে যাওয়া কটেজ দেওয়া হবে প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে। নানা কারণে রাজপরিবারে কার্যত একঘরে হয়ে পড়েছেন রাজা চার্লসের এই ভাই। যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টাইনের সাথে বন্ধুত্বের কারণে অ্যান্ড্রুকে লোকচক্ষু থেকে দূরে রাখা হয়েছিল।

হ্যারি ও মেগান, সাসেক্সের ডিউক ও ডাচেস নামে পরিচিত। প্রিন্স হ্যারির স্মৃতিকথা বিজড়িত ‘স্পেয়ার’ নামক বইটি প্রকাশের মাত্র কয়েকদিন পরেই ফ্রগমোর কটেজ খালি করার এই নির্দেশ চলে আসে রাজকুমারের কাছে। রাজকীয় জীবন ত্যাগ করার পর হ্যারি ও মেগান ২০২০ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে আসেন। তার পর থেকে বেশ কয়েকটি জায়গায় মুখ খোলেন হ্যারি ও মেগান। অপরাহ উইনফ্রের সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কারেও যেমন নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন রাজকুমার, তেমনি নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারিতে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য হিসাবে অনেক ভিতরের তথ্য জানিয়েছেন। হ্যারির বই ‘স্পেয়ার’ জানুয়ারিতে প্রকাশের পর হট কেকের মতো বিক্রি হয়ে যায়, কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমে যায়।

Related Articles