আর্থিক দিক থেকে ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে মালদ্বীপ, সাহায্যের হাত বাড়াল চিন
Maldives is becoming increasingly weak from the financial aspect, China extended its help

Truth Of Bengal: ভারতের সাথে সংঘাতে জড়ানোর ফল হারে হারেভুগতে হচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপকে। ঘাড়ে বড় অঙ্কের ঋণের বোঝা। এমন পরিস্থিতিতে ওই রাষ্ট্রটিতে ভারতীয় পর্যটকেদের আসাও অনেকটাই কমে গিয়েছে। দেশটির অনুদানেও বেশকিছু হেরফের করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। আর্থিক সংকটে জর্জরিত মালদ্বীপের এহেন পরিস্থিতিতে সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে চিন।
দ্বীপ রাষ্ট্রটির এই খারাপ পরিস্থিতিতে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বেজিং। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই দুদেশের মধ্যে মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভারত-মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চিড় ধরে ‘চিনপন্থী’ প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার ঠিক পরেই। এর ফলে নানা কারণে সংঘাত বাড়তে থাকে, ভেঙে পড়ে সেই দেশের অর্থনীতি। সরকারের প্রতি জনগণের মনে ধীরে ধীরে ক্ষোভ প্রশমিত হতে থাকে। টালমাটাল পরিস্থিতির আঁচ পেয়ে মুইজ্জু এখন ভারতবিরোধী নীতি থেকে সরে এসেছেন। কিন্তু তাতেও অর্থনীতি চাঙ্গা হয়নি। এদিকে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিংয়ের তরফে জানা যাচ্ছে, মালদ্বীপকে চীন সাধ্য মতো সাহায্য করবে।
যদিও চিনের তরফে ওই রাষ্ট্রটিকে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়ার চিন্তা ভাবনাকে আসলে ‘ঋণের ফাঁদে’ ফেলার ছক বলেই মনে করছে বিশ্লেষকদের একাংশ। বিশ্লেষকেরা এও বলছেন, যে চিন আসলে সাহায্য করার নাম করে ভারতকে চাপে ফেলতে চাইছে। এদিকে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুইজ্জু। আর এর পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে মালদ্বীপ।