‘যুদ্ধবিরতি’ কে তোয়াক্কা না করে আবারও গাজায় ইজরায়েলি বিমান হানা
Israeli airstrikes in Gaza again, ignoring 'ceasefire'

Truth Of Bengal: পয়লা মার্চ শেষ হয়েছিল যু্দ্ধবিরতির মেয়াদ। গত ১৫-১৬ দিন ধরে দফায় দফায় আলোচনা চালিয়েও লাভ হয়নি। গাজা উপত্যকায় মঙ্গলবার ভোরে ইজরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩২৬ জন প্যালেস্তিনীয় নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে।
যুদ্ধবিরতি ভেঙে আবারও গাজা উপত্যকায় হামলা চালায় আইডিএফের বোমারু বিমান। যা ১৭ মাসের পুরনো যুদ্ধকে আবার শুরু করার হুমকি তৈরি করেছে। মঙ্গলবার গাজার উপর ১০৫ বার বোমা ফেলে ওই বোমারু বিমানটি।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতির শর্ত পরিবর্তনের দাবি প্রত্যাখ্যানের পর এই বিমান হামলার আদেশ দেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অভিযান অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে এবং এর ব্যাপ্তি বাড়তে পারে।
ইজরায়েলের ডিফেন্স ফোর্সের দাবি, গাজায় এখনও অনেক এলাকা হামাসের দখলে রয়েছে। এদের খতম করতেই বিমানহানার সিদ্ধান্ত । ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলছেন, এই মুহূর্তে কোনও যুদ্ধবিরতি নেই।
নেতানিয়াহুর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, “ইজরায়েল এখন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে আরও বেশি সামরিক শক্তি প্রয়োগ করবে।” ইজরায়েল মনে করছে, হামাসের হাতে পণবন্দিদের মুক্তির সম্ভাবনা ক্রমেই কমে আসছে। তাই হামাসকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
রমজান মাসে এই আক্রমণ আবারও যুদ্ধ শুরু করতে পারে, যা ইতিমধ্যেই হাজার হাজার প্যালেস্তাইনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এবং গাজার বিস্তীর্ণ এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।
এই হামলা আবারও হামাসের হাতে বন্দি থাকা প্রায় দুই ডজন ইজরায়েলি নাগরিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এদের মধ্যে কিছু এখনও জীবিত রয়েছে। হামাসের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা নেতানিয়াহুর এই সিদ্ধান্তকে বন্দিদের জন্য “মৃত্যুদণ্ড” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বন্দিদের পরিবার প্রতিনিধিত্বকারী প্রধান সংগঠন সরকারের যুদ্ধবিরতির শর্ত থেকে সরে আসার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।