নেপালে ভারতের দূতাবাস, চলছে দুর্গতদের প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা
Embassy of India in Nepal, arrangements are being made to return the victims

Truth Of Bengal : সপ্তাহান্তে রেকর্ড বৃষ্টিতে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতির কারণে আটকা পড়া নাগরিকদের সম্পর্কে তথ্য পেয়েছে দূতাবাস। দূতাবাস এই কয়েকটি দলের সাথে যোগাযোগ করছে এবং তাদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করছে। দূতাবাস আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের সরিয়ে নিতে সহায়তা করার জন্য নেপালি কর্তৃপক্ষের সাথেও সমন্বয় করছে।
There has been widespread damage due to floods and landslides on account of record rainfall over the weekend. Our thoughts are with everyone affected. The Embassy has received intimation regarding 🇮🇳 citizens in 🇳🇵who are stranded because of this situation. The Embassy is in… pic.twitter.com/DnLJhEvgHL
— IANS (@ians_india) September 30, 2024
প্রসঙ্গত, নেপালের বন্যার জেরে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। এবার মৃতের সংখ্যা ১৭০-এর গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, নেপালে শুক্রবার থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত যে বিপর্যয় চলেছে তার জেরে ওদেশে নিখোঁজ হয়েছে ৪২ জন। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে ওদেশের বাগমতি নদী ও তার উপনদীগুলির জল বইছে। অনেক জায়গায় আবার দু’কূল ছাপিয়ে লোকালয়ে চলে যাচ্ছে নদীর জল। যার জেরে ঘরবাড়ি, গাড়ি ও রাস্তাঘাট জলের তলায়। রবিবার কাঠমান্ডু হাইওয়েতে ধস নামার কারণে সেখানে নিহত হন ৩৫ জন।
ওদেশের প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দক্ষিণ অংশের এক হাইওয়েতে ভয়ানক ধস নামে। সে সময় ওই হাইওয়েতে যাত্রিবাহী তিনটি গাড়ি থাকায় সেগুলি ধসে চাপা পড়ে যায়। ধসে চাপা পড়া ওই তিনটি গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ৩৫ জনের মৃতদেহ। দেশের বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকায় তিন হাজারের অধিক নিরাপত্তাকর্মীকে উদ্ধার কাজের জন্য নামানো হয়েছে। উদ্ধার কাজের পাশাপাশি পৌঁছে দেওয়া হয় ত্রাণসামগ্রীও।
ওদেশের আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, নেপাল গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্মুখীন হয়েছে। এর সাথে ওই দফতর জানিয়েছে তাদের হিসাবে, কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের কাছাকাছি এক জায়গায় ২৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এমন বৃষ্টি শেষবার ২০০২ সালে দেখেছিল নেপালবাসী।
নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ঋষিরাম তিওয়ারি বলেন, ‘‘কাঠমান্ডুর সঙ্গে যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করতে আমাদের উদ্ধারকারীরা কঠোর পরিশ্রম করছেন। এখনও পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি মানুষকে আমরা উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে পেরেছি। ধসের পর ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে হাইওয়ে মেরামত করার কাজও শুরু হয়েছে।’’
বৃষ্টি-বন্যার জেরে নেপালের বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে শনিবার ১৫০টি বিমান বাতিল করা হয়েছিল, অবশ্য তারপরের দিন তথা রবিবার সকাল থেকে আবারও স্বাভাবিক হয়েছে বিমান পরিষেবা।