আন্তর্জাতিক

ভারতের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে, ধর্মীয় সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা উদ্দেশ্য নয়, স্পষ্ট করল ঢাকা

Dhaka clarifies that banning religious organizations is not the intention

Truth Of Bengal: ইসকনের মন্দিরে হামলা বা ইসকনের প্রতিনিধি চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের ঘটনায় তোলপাড় বিশ্ব। এপার বাংলার মতোই সাগরপারেও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দার ঝড় উঠেছে। ব্রিটেনের সংসদেও কনজারভেটিভ পার্টি সোচ্চার হয়েছে।

এই অবস্থায় সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ। সেদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িও সম্পত্তিতে আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছে, কিছু ধর্মান্ধ মানুষের বিরুদ্ধে। দিল্লি তাই এই ধরণের ঘটনা রুখতে কড়া বার্তা দেয়। এরপরই নড়েচড়ে বসে ঢাকা। কূটনৈতিক সখ্য সম্পর্ক রাখার আভাস দিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম স্পষ্ট করেছেন, কোনও ধর্মীয় সংঠনকে নিষিদ্ধ করা উদ্দেশ্য নয়। ভারতের কাছে যে ব্যাখা পৌঁচ্ছাছে তা একেবারেই ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন তিনি।

একইসঙ্গে শফিকুল আলম দাবি করেন, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। ঢাকা সেই উত্তেজনা প্রশমিত করার আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে। আসলে যত না ঘটনা হচ্ছে তার থেকে রটনা বেশি হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কথা প্রচার হচ্ছে তা মোটের ওপর সঠিক নয় বলেও স্পষ্ট করেন তিনি।

একইসঙ্গে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, ভারতীয় সাংবাদিকরা প্রয়োজনে এসে দেখে যান বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অবস্থা কেমন রয়েছে। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। বিশ্বজুড়ে মুখ পোড়ায় বাংলাদেশের সরকারের তরফে এবার আশ্বস্ত করা হল, ইসকন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে, তাদের কোনওরকম নিষিদ্ধ করার প্রশ্নই উঠছে না।

তাই বিশ্বজুড়ে ইউনুস সরকারের ব্যর্থতা ও আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতিতে বাংলাদেশ যে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে তা স্পষ্ট হল বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

Related Articles