ওয়েনাডের ভূমিধসে বাড়ছে মৃত্যুমিছিল, শোকপ্রকাশ বিদেশ দপ্তরগুলির
Death march increases in Wayanad landslides, foreign office condoles

The Truth Of Bengal: মৃতের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে। কেরলের ওয়ানাড়ে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৬। খোঁজ মেলেনি আনুমানিক দুই শতাধিক মানুষের। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। আর এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা বিশ্ব। শোকবার্তা পাঠিয়েছে আমেরিকা,রাশিয়া, ইরান ।
প্রসঙ্গত, টানা বৃষ্টির জেরে মঙ্গলবার ধস নামে কেরলের ওয়ানড়ে। তারপরেই শুরু হয় মৃত্যুমিছিল। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৬। সেনাবাহিনীর সঙ্গে উদ্ধারকার্যে নেমেছে নৌসেনা এবং বায়ুসেনা। যদিও প্রতিকূল পরিস্থিতির জেরে কিছুটা দমে যাচ্ছে উদ্ধাকারীরা।
ওয়ানড়ের ভূমিধসের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে আমেরিকা,রাশিয়া এবং ইরান। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শোকবার্তা এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে ভারতে অবস্থিত রুশ দূতাবাস। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘কেরলের ওয়ানড়ে ভয়াবহ ভূমিধসে রাশিয়া মর্মাহত। এই কঠিন সময়ে আমরা ভারতের পাশে রয়েছি। এই দুর্যোগে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা রয়েছে। প্রার্থনা করি, আহতরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। উদ্ধারকাজ যেন নিরাপদে সম্পন্ন হয়।’ পাশাপাশি মার্কিন বিদেশ দপ্তরের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ‘কেরলের ওয়ানড়ে ভয়াবহ ভূমিধস হয়েছে। এই ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রয়েছে। যাঁরা নিখোঁজ রয়েছেন তাঁদের যেন দ্রুত উদ্ধার করা হয়।’ ওয়ানড়ের বিপর্যয়ে শোকপ্রকাশ করেছে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত ইরানের দূতাবাসও। এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, ‘আমরা কেরলের মানুষদের পাশে রয়েছি। এই ঘটনায় আমরা শোকস্তব্ধ।’
স্থানীয়দের মতে, নিখোঁজদের বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা হ্রাস পাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। ওয়ানড়ের জেলা প্রশাসন তরফ থেকে জানানো হয় , পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের কারণে হাজার হাজার টন পাথর এবং মাটির স্তুপ তৈরি হয়েছে। এই স্তুপ থেকে উদ্ধারের কাজ চালানো খুব কঠিন। ওয়ানড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার রাস্তাঘাট, বাড়িঘর প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় চার্চ, স্কুল-কলেজের যা অবশিষ্ট আছে, সেই জায়গাগুলিতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে দুর্গতদের। এবং সেখানেই আহতদের চিকিৎসা চলছে।