আন্তর্জাতিক

শুল্কযুদ্ধে কোণঠাসা চিন, আমেরিকার বিরুদ্ধে ভারতকে পাশে চাইছে বেজিং

China seeks India's support against US in tariff war

Truth Of Bengal: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর পদক্ষেপে শুল্কযুদ্ধে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে চিন। মঙ্গলবার চিনা পণ্যের উপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে আমেরিকা। ফলে এখন চিনা পণ্যের উপর মোট শুল্ক দাঁড়াল ১০৪ শতাংশ। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে আমেরিকার মোকাবিলায় ভারতকে পাশে চাইল বেজিং।

এর আগে গত বুধবার চিনের উপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিল আমেরিকা। পাল্টা হিসাবে চিনও শুক্রবার একই হারে মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক বসায়। এর জবাবে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, যদি চিন শুল্ক না তুলে নেয়, তাহলে মঙ্গলবারের মধ্যে আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয় চিনা পণ্যের উপর। শুরুতে ২০ শতাংশ শুল্ক থাকলেও, পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় মোট ১০৪ শতাংশে।

এই অবস্থায় চিনও চুপ করে বসে নেই। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “আমেরিকা যদি আমাদের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ চায়, তাহলে আমরাও লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। নিজেদের স্বার্থে আমরা পাল্টা জবাব দেব, ব্ল্যাকমেল বরদাস্ত করব না।”

ট্রাম্প অবশ্য আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে জানিয়েছেন, “চিন খুব শীঘ্রই আলোচনায় বসতে চাইবে।” হোয়াইট হাউস থেকেও জানানো হয়েছে, আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে। তবে চিন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ভয় দেখিয়ে আলোচনায় বসানো যাবে না।

এই প্রেক্ষাপটে চিন ভারতের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে। ভারতের চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিয়ে বলেন, “দুই বড় উন্নয়নশীল দেশের উচিত একে অপরকে সাহায্য করা।” যদিও এই ধরনের আহ্বান চিন এর আগেও বহুবার জানিয়েছে। বারবার ভারতকে পাশে চেয়ে বার্তা দিলেও, বিশ্বাসযোগ্যতার অভাবে ভারত কখনই সরাসরি মন্তব্য করেনি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অতীতে চিন মুখে এক বললেও কাজে তার উল্টো করেছে। তাই এখন চিনের বার্তা নিয়ে খুব বেশি গুরুত্ব না দিয়ে ভারতের মেপে পা ফেলা উচিত। শুল্কযুদ্ধের এই পরিস্থিতি বিশ্ব বাণিজ্যে এক নতুন মোড় এনে দিয়েছে।

Related Articles